ধৃত: জামশেদ আলি মণ্ডল।
স্ত্রীর মৃত্যুর পরে প্রকাশ্যে এলো স্বামীর ‘কুকীর্তি’র কথা।
অভিযোগ, নাবালিকা আত্মীয়াকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। জানাজানির ভয়ে পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্ত্রীকে। বাদুড়িয়ার বাগজোলা গ্রামের এই ঘটনায় তাজমিরা বিবির (৩৮) দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্বামী জামশেদ আলি মণ্ডলকে।
পুলিশ জানায়, সোমবার তাজমিরার মৃত্যুর পরে তাঁর দাদা ওয়াশেল আলি সাহাজি অভিযোগ করেন, বোনকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তাজমিরার এক আত্মীয়া ওই বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করে। বছর তেরোর মেয়েটির অভিযোগ, গত তিন-চার মাস ধরে তাকে খুনের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেছে জামশেদ।
এই অভিযোগ পেয়ে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ জামশেদকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে খুন এবং ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে বুধবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বছর দশেক আগে বাদুড়িয়ার মলয়াপুর গ্রামের তাজমিরাকে বিয়ে করে বাগজোলার জামশেদ। অভিযোগ, যৌতুক বাবদ আরও টাকা চাইত সে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হত। দুই পুত্র সন্তান ওই দম্পতির। গত কয়েক বছর ধরে এক আত্মীয়াকে নিজের শ্বশুরবাড়িতে এনে রেখেছিলেন তাজমিরা।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাজমিরা। তাঁকে বাদুড়িয়ার রুদ্রুপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। সোমবার সকালে পুলিশ দেহ ময়না-তদন্তে পাঠায়। পুলিশের দাবি, সে সময়ে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে তেমন কোনও অভিযোগ করা হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার থানায় এসে তাঁরা জানান, মারধরের ফলে তাজমিরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরপরে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। নিজের বাড়িতে নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনাতেও যুক্ত জামশেদ। স্ত্রী জানতে পেরে গিয়েছিলেন সে কথা। তা নিয়ে গোলমালের জেরেই এই খুন।
মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, অত্যাচার মাত্রাছাড়া হয়ে উঠছিল দিন দিন। বাধ্য হয়ে সে কথা সে জানিয়েছিল তাজমিরাকে। তিনি বলেছিলেন, এ সব পাঁচকান না করতে। তা হলে জামশেদ তাঁদের দু’জনকেই খুন করতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে খুনের তাজমিরার মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy