প্রতীকী ছবি
ক’দিন আগে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কাকদ্বীপের ময়নাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল মাইতির। এ বার তাঁর ছোট মেয়ে পিঙ্কির রক্তেও মিলল ডেঙ্গি। মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। বছর সতেরোর কিশোরীর এ বার মাধ্যমিক দেওয়ার কথা।
কাকদ্বীপ বিএমওএইচ গৌরহরি মণ্ডল বলেন, ‘‘মহকুমায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮৬ জন হল।’’ বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের উদ্যোগে স্বাস্থ্যকর্মীরা অশোকপুর পূর্ব ময়নাপাড়ায় আবর্জনা সাফাই, ব্লিচিং, মশা মারার তেল ছড়ানোর কর্মসূচি নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কাকদ্বীপ মহকুমার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিরূপ মণ্ডলের বক্তব্য, এই এলাকা থেকে বহু মানুষ ট্রেনে কলকাতা যাতায়াত করেন। তাঁর মতে, ট্রেনের কামরাও মশা-মুক্ত করা দরকার। এ দিকে, জ্বর-ডেঙ্গি রোগীর চাপ বেড়েছে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। পরিকাঠামো ও পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভও বিস্তর। নিয়মিত চিকিৎসককে পাওয়া যায় না, হাসপাতালে নালা দিয়ে জল সরে না, আবর্জনা পড়ে থাকে— এমন বহু অভিযোগ তুলছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ। খুব শীঘ্রই হাসপাতালের আর্বজনা পরিষ্কার করা হবে বলে জানান কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার আশিষ মণ্ডল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এখানে শয্যা সংখ্যা ৪০০। কিন্তু আরও অন্তত একশো জন বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। চিকিৎসকের অভাব আছে। রেডিওলজিস্ট নেই। সাত মাস ধরে পড়ে রয়েছে ইউএসজি মেশিন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে ৪০০-৫০০ রোগী আসেন। সব দিক সামলাতে সামান্য কয়েক জন চিকিৎসককে হিমসিম খেতে হয়। গত কয়েক মাসে কয়েক জন চিকিৎসক চলে গিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy