আমপানের ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেননি অনেকেই। তার মধ্যেই অমাবস্যার কটালে নদী ও সমুদ্র বাঁধ ভেঙে ফের ভাসল সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমার বহু এলাকা। বাসিন্দারা বলছেন, আমপানের পরে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি মেরামতে আরও জোর দেওয়া হলেই অনেকটা ক্ষতি এড়ানো যেত। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী কাঠগড়ায় তুলছেন প্রশাসনকে। শুক্রবার প্রশাসনের লোকজন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গেলে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় মানুষ।
অমাবস্যার কটালের জেরে বুধবার থেকেই নদী এবং সমুদ্রে জল বাড়তে শুরু করে। তার জেরে একে একে বাঁধ ভাঙে বহু জায়গায়। নোনা জলের তলায় চলে গিয়েছে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি, মাছের পুকুর, পানের বরজ ও ঘরবাড়ি। অনেকেই জলে ডুবে থাকা ঘরবাড়ি ফেলে রেখে এখন আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাঁধের উপরে বা ত্রাণ শিবিরে। সেখানে ত্রাণের খাবার নিয়েও শুরু হয়েছে হাহাকার। এ দিকে বাড়িতে যা চাল গম মজুত ছিল জলের তোড়ে তা-ও শেষ।
জলের তোড়ে ফের বাঁধ ভাঙল মিনাখাঁয়। অমাবস্যার কটালে বিদ্যাধরী নদীর জল বাড়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মিনাখাঁর মোহনপুর অঞ্চলে চণ্ডীবাড়ি এবং মল্লিকঘেরিতে নদী বাঁধ ভেঙে এলাকায় জল ঢোকে। তবে গ্রামের মানুষ ও স্থানীয় প্রশাসন মিলে বাঁধ মেরামত করেন। রাতে ফের ওই বাঁধ ভেঙে গ্রামে নোনা জল ঢুকে পড়ে। শতাধিক বাড়ি, ধানের জমি, পুকুর, মাছের ভেড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শুক্রবার প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন মিনাখাঁর বিধায়ক উষারানি মণ্ডল এবং মিনাখাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপেশ পাত্র। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে শুক্রবার বিকেল থেকেই যাতে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়, তার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। স্থানীয় মানুষকে আশ্বস্ত করে বিধায়ক বলেন, ‘‘দু’চার দিনের মধ্যেই যাতে বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হয়, তা দেখা হচ্ছে। বাঁধ মেরামতি হয়ে যাওয়ার পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’