নদীর ভাঙনে ফলতায় তলিয়ে যেতে বসেছে আস্ত পিকনিক স্পট! ভাঙতে ভাঙতে প্রায় বাঁধে ঠেকতে বসেছে জায়গাটি। স্থানীয় মানুষের দাবি, দ্রুত বাঁধ দিয়ে পিকনিক স্পট বাঁচানোর ব্যবস্থা করুক সরকার।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর কয়েক আগে পর্যন্ত ফলতার নদীর বাঁধের সামনে ৩০০-৪০০ ফুট চওড়া চর ছিল। হুগলি নদীর উপরে সেই চরের উপর সবুজ ঘাস গজিয়ে ওঠে। নদী লাগায়ো ওই চরে প্রায় সারা বছর ধরেই পিকনিক হয়। বিশেষত, শীতের মরসুমে ভিড় আরও বাড়ে। প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা নদীঘেঁষা মনোরম ওই পিকনিক স্পট খুবই জনপ্রিয়। পর্যটকেরা আসায় তা স্থানীয় অর্থনীতির পক্ষেও সহায়ক হয়। কিন্তু হালে সেখানে নদীর ভাঙনের জেরে প্রস্থে মাত্র ৪০-৫০ ফুটে এসে ঠেকেছে! বেশ লোক পিকনিক করতে এলে জায়গার সমস্যা হয়।
সমস্যা রয়েছে আরও। পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি এলাকায়। পানীয় জল, শৌচালয়ের অভাব রয়েছে। কলকাতা থেকে ওই পিকনিক স্পটে আসা শ্যামল বেরা জানালেন, ‘‘নদীর ধারে মনোরম পরিবেশ, তাই পরিবারের সঙ্গে এসেছি। কিন্তু এখানে পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত পরিষেবার ব্যবস্থা নেই।’’ ওই পিকনিক স্পট ঘিরে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক-যুবতী ছোটখাটো দোকান করে উপার্জন করেন। তাঁদের এক জন জানালেন, ‘‘অনেক দূর পর্যন্ত ছিল চরটি। কিন্তু ক্রমাগত নদী ভাঙনের ফলে সামান্য কিছু অংশ পড়ে রয়েছে।’’ স্থানীয় মানুষদের আশঙ্কা, প্রশাসন ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে আর কয়েক বছরের মধ্যে নদীর গ্রাসে তলিয়ে যাবে গোটা স্পট। দ্রুত নদী বাঁধ তৈরির ব্যবস্থা করলে তবেই চরটি বাঁচানো যাবে বলে দাবি তাঁদের।
ফলতার বিধায়ক শঙ্করকুমার নস্কর বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একশো দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়ায় ওই পিকনিক স্পটের নদী বাঁধ তৈরি করা যাচ্ছে না।’’ বিডিও সানু বক্সী বলেন, ‘‘ওই নদীবাঁধ তৈরি নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)