Advertisement
E-Paper

বাণিজ্যে গতি আনতে পেট্রাপোলে বৈঠক

সুসংহত চেকপোস্টগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তা দেখতে বুধবার পেট্রাপোলে এলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য দফতরের যুগ্ম সচিব ভূপেন্দর সিংহ ভাল্লা। এ দিন শুল্ক বিএসএফ-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪৭
বৈঠক করে বেরোচ্ছেন সচিব। নিজস্ব চিত্র।

বৈঠক করে বেরোচ্ছেন সচিব। নিজস্ব চিত্র।

সুসংহত চেকপোস্টগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তা দেখতে বুধবার পেট্রাপোলে এলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য দফতরের যুগ্ম সচিব ভূপেন্দর সিংহ ভাল্লা। এ দিন শুল্ক বিএসএফ-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন তিনি।

বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যে আরও গতি আনতে তৈরি করা হয়েছিল সুসংহত চেকপোস্ট। খরচ হয়েছিল প্রায় দু’শো কোটি টাকা। কয়েক মাস আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্বোধন করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চেকপোস্ট দিয়ে পুরোদমে বাণিজ্য শুরু করা যায়নি। এটি তৈরির আগে যশোর রোড দিয়ে পণ্য রফতানি আমদানি হতো। এমনকী, বেনাপোলে পণ্য নামিয়ে ট্রাকগুলিও ওই রাস্তা দিয়েই ফিরত। আবার ওই পথেই পাসপোর্ট দেখিয়ে এপার ওপার হওয়া যেত। সব মিলিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি ছিল। বাণিজ্যেও গতি বাড়ছিল না। তা ছাড়া, আমদানি রফতানির জন্য বিভিন্ন দফতরগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ব্যবসায়ী থেকে ক্লিয়ারিং এজেন্ট সবাইকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হতো। ট্রাকে থাকা পণ্যেরও নিরাপত্তা ছিল না।

ওই সমস্যা দূর করে বাণিজ্যে গতি আনতেই সমস্ত দফতরগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে তৈরি করা হয় সুসংহত চেকপোস্ট। ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন এ বার হয় তো গতি আসবে। কিন্তু এখনও তা হয়নি।

শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুসংহত চেকপোস্ট দিয়ে এখন শুধু বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির ট্রাক যাতায়াত করে। রফতানি হয় সেই যশোর রোড দিয়েই। ফলে কোনও সুবিধাই হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ ভাবে আমদানি-রফতানিতে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ বার বার যাতায়াত করতে হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত চেকপোস্ট দিয়েই বাণিজ্যের সমস্ত কাজ শুরু করা হোক।’’

কার্তিকবাবু জানান, সুসংহত চেকপোস্টের ওপারে বাংলাদেশের দিকে একটি মাত্র রাস্তা। এবং সে রাস্তাটিও বেশি মালপত্র বহনের যোগ্য নয়। সে কারণেই রফতানির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, ভূপেন্দর জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন সব ধরনের খাদ্য সামগ্রীর গুণগত মানের পরীক্ষা এখানে হয় না। কলকাতা থেকে করিয়ে আনতে হয়। শীঘ্রই বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী, যা বাংলাদেশে রফতানির হয়, তার গুণগত মানের পরীক্ষা এখানেই শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন সচিব।

Petropol Business
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy