সন্তোষ দাস। নিজস্ব চিত্র।
মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণকে বাড়ি ফেরালেন দেগঙ্গার বাসিন্দা নিরঞ্জন দাস। সন্তোষ দাস নামে ওই তরুণের বাড়ি ত্রিপুরায়। শনিবার তাঁর বাড়ির লোকেরা এসে থানা থেকে নিয়ে গিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার সময় কাজ থেকে গোবিন্দপুরে বাড়ি ফিরছিলেন নিরঞ্জনবাবু। তিনি রাস্তায় সম্তোষকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে দেখেন। নাম জানতে চাইলে ওই তরুণ ইংরেজিতে নিজের ও বাবার নাম লিখে দেন। বাড়ির কোনও ফোন নম্বর জানতে চাইলে সন্তোষ নম্বর লিখে দিলেও সেটি ভুল ছিল। পরে নিরঞ্জনবাবু তাঁর থেকে সঠিক নম্বর জেনে ত্রিপুরায় তাঁর বাড়িতে ফোন করে পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্তোষের বাড়ি ত্রিপুরার ধলাই জেলার লংতরাই থানা এলাকায়। স্কুলের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকে সন্তোষ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। ১৫ অক্টোবর তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তারপর কোনও ভাবে দেগঙ্গার বেলিয়াঘাটায় এসে পৌঁছান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক দিন ধরেই বেলিয়াঘাটা বাজার ও সেতু এলাকায় তাঁকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছিল।
শনিবার ওই তরুণের বাড়ির লোক এসে তাঁকে নিয়ে যান। সন্তোষের দাদা মিঠুনবাবু বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমার ভাইয়ের স্মৃতি শক্তি চলে যাচ্ছিল। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওর খোঁজ মেলেনি। নিরঞ্জনবাবুর সাহায্যের কথা আমরা কোনও দিন ভুলবো না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy