এখানেই চলেছিল গুলি। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
ভরা প্ল্যাটফর্মে তখন আপ ও ডাউনে দু’টি ট্রেন ঢুকেছে। লোকজনের ভিড়ে সরগরম স্টেশন চত্বর। ফুটব্রিজ তুলনায় ফাঁকা। আচমকাই গুলির শব্দে চমকে ওঠেন যাত্রীরা। দেখা যায়, ফুটব্রিজের উপরে লুটিয়ে পড়েছেন বছর পঞ্চান্নর প্রৌঢ়। চারিদিকে রক্তের ছিটে।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টা নাগাদ শ্যামনগর স্টেশনের এই ঘটনা ফের দেখিয়ে দিল, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা কতটা নড়বড়ে।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম বিজয়প্রসাদ দাস রায়। নৈহাটি স্টেশনে তাঁর লটারির টিকিট বিক্রির দোকান আছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে আরজিকর হাসপাতালে। ওই প্রৌঢ় বলেন, ‘‘ফুটব্রিজ ধরে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে যাচ্ছিলাম। আচমকাই পিঠের কাছে একটা ধাক্কা খেলাম। প্রচণ্ড শব্দ হল। অসহ্য যন্ত্রণা। চারদিক অন্ধকার হয়ে গেল। আর কিছু মনে নেই।’’
রেলপুলিশ জানায়, বিজয়প্রসাদবাবু এ দিন দোকান বন্ধ করে শ্যামনগরে গিয়েছিলেন বিক্রি না হওয়া টিকিট এজেন্সিতে ফেরত দিতে। সঙ্গে কিছু টাকাও ছিল। দুষ্কৃতীদের কাছে সেই তথ্য ছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান। পিছন থেকে এসে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে মাথা লক্ষ করে গুলি চালায়। মাথার বাঁ দিকে গুলি লাগে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে আপ প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো গেদে লোকাল ধরে পালিয়ে যায়। টাকার ব্যাগটিও খোওয়া গিয়েছে।
শিয়ালদহের রেলপুলিশ সুপার দেবাশিস বেজ বলেন, ‘‘যে ভাবে গুলি চলেছে, তাতে অন্য কেউও আহত হতে পারতেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ সামান্য লটারির টিকিট বিক্রেতাকে খুনের চেষ্টার পিছনে শুধু টাকা লুঠের ছক, নাকি অন্য কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কাকদ্বীপ। মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রকাশের পরে কাকদ্বীপের সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র সৌরজ্যোতি মাইতির স্থান ছিল পঞ্চম। কিন্তু নতুন করে রিভিউ করার পরে তার তিন নম্বর বেড়ে সারা রাজ্যে যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী হল ওই ছাত্র। মঙ্গলবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর জানা তার নতুন ফল জানান। তবে এখনও নতুন মার্কশিট হাতে পায়নি সৌরজ্যোতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy