—প্রতীকী ছবি।
আলো-আঁধারিতে সুযোগ বুঝে সটকে পড়েছিল সে। চুপচাপ গঙ্গাপাড়ের কাদা মাড়িয়ে পগার পার হওয়ার চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হুগলি জেলে ঢোকার আগে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালিয়েছিল রেল ডাকাতির চেষ্টায় অভিযুক্ত শেখ রাজা নামে নৈহাটির কারিগরপাড়ার এক দুষ্কৃতী। তারপরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলল ‘চোর-পুলিশ’ খেলা। শেষমেশ কাছেই চুঁচুড়ার রথতলায় গঙ্গার পাড়ে কাদামাখা অবস্থায় তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নতুন মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চব্বিশের ওই যুবক পুলিশের খাতায় ‘পাকা দুষ্কৃতী’। ট্রেন ডাকাতি, ছিনতাই-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের অনেকে তাকে ‘নেহাল’ বলে এক ডাকে চেনে। এ দিন ভোরে গরফা স্টেশন থেকে ব্যান্ডেল জিআরপি থানার পুলিশ ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে। এ দিনই তাকে চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেইমতো সন্ধ্যায় কোর্ট লকআপ থেকে বের করে তাকে হুগলি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ জেলের সামনে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে শেখ রাজাকেও গাড়ি থেকে নামানো হচ্ছিল। এক পুলিশকর্মী রাজাকে হাত ধরে গাড়ি থেকে নামান। আচমকাই সেই পুলিশকর্মীর হাত ছাড়িয়ে সে দৌড় মারে। পুলিশও ধাওয়া করে। বেগতিক বুঝে রাজা লুকিয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানা থেকে আরও পুলিশ রাস্তায় নেমে খানাতল্লাশি শুরু করে। পুলিশের নজর এড়িয়ে রাজা গঙ্গার পাড়ে নেমে পড়ে বেশ কিছুটা এগিয়েও যায়। কিন্তু শেষমেশ পুলিশের চোখে ধুলো দিতে পারেনি। ঘণ্টাখানেকের ‘যুদ্ধ’ শেষে রাজাকে পাকড়াও করতে পেরে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। জেলের কাছে দাঁড়িয়ে এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘‘রাজা পালালে কী যে হত! ভাগ্যিস সাঁতরে পালায়নি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy