কেয়া লোধ ও পায়েল মল্লিক। নিজস্ব চিত্র
ঘরের মধ্যে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল এক গৃহবধূ ও তাঁর মায়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই বধূর স্বামীও। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের বর্মা কলোনির সুবর্ণপত্তন এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাতে কোনও ভাবে বিদ্যুদয়িত হয়ে যায় বাড়িটি। তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মা-মেয়ের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নামে পায়েল মল্লিক (২৮) ও কেয়া লোধ (৫০)। মৃতদেহ দু’টি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানায় পুলিশ। কোনও কারণে শর্ট সার্কিট থেকে ঘটনাটি ঘটেছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি পায়েলদের। এর পরে বাড়ির গ্রিলে হাত দিতেই বোঝা যায়, বাড়িটি বিদ্যুদয়িত হয়েছে। খবর যায় বারাসত থানা ও বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসে।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীরা এসে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। বাড়িতে ঢুকে পুলিশ দেখে, মা ও মেয়ে একে অন্যের গায়ের সঙ্গে জড়িয়ে। তবে তখনও বেঁচে দু’জনেই। খানিকটা দূরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে পায়েলের স্বামী সানি মল্লিক। তাঁদের দেড় বছরের শিশুটি খাটের উপরে ঘুমোচ্ছে। এর পরেই তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। রাস্তায় মৃত্যু হয় পায়েলের। কিছুক্ষণ পরে হাসপাতালেই মারা যান কেয়া। সানির অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
পুলিশের ধারণা, প্রথমে পায়েল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে কেয়াও জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের দু’জনকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সানিও। সারা রাত সে ভাবেই পড়ে ছিলেন তিন জন। পুলিশের অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পরেও শিশুটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সকলেই। কাঠের খাটের উপরে থাকায় অক্ষত রয়েছে শিশুটি। তবে সানি সুস্থ হলেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy