স্বপন দাস।
থানায় এসে নিজেই খুনের কথা স্বীকার করল এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার বনগাঁ থানায় আইসি ও এসডিপিও-র সামনে সে প্রতিবেশী বিমল দাস নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’দিন ধরেই স্বপন দাস নামে ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চলছিল। বুধবার ধৃতকে বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ বিমলবাবু (৫০) বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর বাড়ি বনগাঁর কুন্দিপুরে। অভিযোগ, বাড়ির কাছে আসতেই তাঁর উপরে ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় স্বপন। তাঁকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। চিৎকারে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন বিমলবাবুর স্ত্রী। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর হাতে আঘাত লাগে। অধীর দাস নামে আরও এক প্রতিবেশী ছুটে এলে তাঁকেও কোপায় স্বপন বলে পুলিশ জানায়। এরপরেই আশপাশ থেকে লোক ছুটে এলে স্বপন পালায়। স্থানীয়রা বিমলবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু পরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত গ্রামবাসী স্বপনের ইটের বাড়ি ভাঙচুর করে।
কেন সে আত্মসমর্পণ করল?
পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ তাকে খুঁজছিল। কোনও না কোনও দিন তাকে গ্রেফতার হতেই হতো। সে জন্য নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিল ওই ব্যক্তি। এ দিকে বুধবার সকালে ধৃত স্বপনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বনগাঁর কুন্দিপুর এলাকার মানুষ থানায় এসে পুলিশের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। পুলিশকে স্বপন জানিয়েছে, তার স্ত্রীর সঙ্গে বিমল জোর করে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করতে চাইছিলেন। তাই তাঁকে খুন করেছে স্বপন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিমলবাবু পেশায় রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার। তিনি বিভিন্ন কাজে রাজমিস্ত্রির সরবরাহ করতেন। বিমলবাবুর স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সময় ও বাড়িতে ছাদ ঢালাই করার সময় স্বপন তাঁর স্বামীর কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। ওই টাকা চাওয়ার জন্যই স্বপন তাঁকে খুন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy