—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জলাভূমি ভরাট করা দেশদ্রোহের মতোই অপরাধ বলে মন্তব্য করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘‘ভাঙড়ে যে সব এলাকায় জলাভূমি রয়েছে, সেখানে একটি ইট গাঁথার অনুমতি ভারত সরকার পর্যন্ত দিতে পারে না। অথচ, সেখানে ইট গাঁথা তো সামান্য ব্যাপার, প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি হচ্ছে।’’ এ প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পুলিশ-প্রশাসনের একাংশকে বিঁধেছেন তিনি। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, জলাভূমিভরাটের কাজে তাদের দলের কেউ জড়িত নয়।
বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের হাতিশালায় আইএসএফের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরে এসেছিলেন নওসাদ। ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার ঘোষ, আইএসএফের জেলা সভাপতি আব্দুল মালেক, ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য রাইনুর হক প্রমুখ।
শিবিরে নওসাদ জানান, ইরানে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, সেখানে জলাভূমির (ওয়েট ল্যান্ড) চরিত্র বদল করা যাবে না, এই মর্মে যে যুক্তি হয়েছিল, সেখানে ভারত সরকার স্বাক্ষর করেছিল। বিধায়কের কথায়, ‘‘আমাদের দেশ যে চুক্তিতে সই করেছে, সেখানে যদি কেউ তা লঙ্ঘন করে, তা হলে তাকে দেশদ্রোহী বলা হবে।’’
এ দিন থেকে টানা দশ দিন ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় রক্তদান শিবির হবে বলে আইএসএফ সূত্রের খবর। তাদের অভিযোগ, শিবির বন্ধ করতে শাসক দলের লোকজন বুধবার রাতে বোমাবাজি করেছে। শিবিরে আসতে অনেককে নানা ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা বলেন, ‘‘দলের কেউ জলাভূমি ভরাটের সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা জলাভূমি ভরাটের বিরুদ্ধে। এর আগে আমি সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।’’ বোমাবাজির অভিযোগও মানেননি।
নওসাদ সাংসদ প্রসঙ্গে যে বলেছেন, তা নিয়ে সওকাতের বক্তব্য, ‘‘এখানকার যিনি সাংসদ, তিনি নিজের এলাকায় প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। ওঁর সম্পর্কে এ ধরনের কথা মানায় না নওসাদের মুখে। তিনি ভাঙড়ের বিধায়ক হয়েও ফুরফুরা শরিফে সারাক্ষণ পড়ে থাকেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy