E-Paper

মৃত বাংলাদেশির দেহ ফেরাল নিমতা থানা

পুলিশ সূত্রের খবর, গত অগস্টে বাংলাদেশের বরিশালের বিশ্বাস বাড়ি এলাকার বাসিন্দা পুঙ্কুশকুমার বিশ্বাস (৩৮) চিকিৎসার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৯
শুক্রবার গেদে সীমান্তে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করা হয়।

শুক্রবার গেদে সীমান্তে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। —প্রতীকী চিত্র।

চিকিৎসা করাতে এ রাজ্যে এসেছিলেন বাংলাদেশের এক নাগরিক। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কী ভাবে দেহটি দেশে নিয়ে যাওয়া যাবে, সেই চিন্তায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। নিমতা থানার উদ্যোগে শুক্রবার সেই ব্যক্তির দেহ বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত অগস্টে বাংলাদেশের বরিশালের বিশ্বাস বাড়ি এলাকার বাসিন্দা পুঙ্কুশকুমার বিশ্বাস (৩৮) চিকিৎসার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। এ দেশে চিকিৎসা চলাকালীন ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বাড়িতে সিঁড়ি থেকে পড়ে যান। তাঁকে ভর্তি করা হয় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ৮ সেপ্টেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।

ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর দু’বছরের শিশু এবং স্ত্রী ছিলেন। বিপর্যস্ত পরিবার মৃতদেহ দেশে ফেরাতে নিমতা থানার দ্বারস্থ হয়। থানার তরফে হাসপাতালের মর্গে যোগাযোগ করা হয়। থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সুরজ আলি এবং বাপাই সাহা পার্ক সার্কাসের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে শবদেহ বহনকারী কফিনের ব্যবস্থা করেন।

এক পুলিশকর্তা জানান, রাস্তায় যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য সীমান্ত পর্যন্ত সব থানাকে বলে দেওয়া হয়। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দেহ ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু মৃতের স্ত্রী অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার গেদে সীমান্তে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন মৃতের পরিবারের বাকি সদস্যেরা।

নিমতার বাসিন্দা মৃতের ওই আত্মীয় জানান, ওই ব্যক্তির হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা ছিল। সেই চিকিৎসা করাতেই এ দেশে এসেছিলেন। স্থানীয়দের মতে, দু’দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে যে অবস্থাতেই থাক, মানবিকতা যে হারিয়ে যায়নি, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nimta Bangladeshi

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy