আর জি কর-কাণ্ডের জেরে গত বছর পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। কিন্তু এ বারলক্ষ্মীপুজোয় শব্দবাজির দাপট কতটা ফিরবে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে হাবড়া শহরের বহু প্রবীণ ও অসুস্থ মানুষের। কারণ, কাল পুজো। অথচ, শনিবার রাত পর্যন্ত শব্দবাজি রোধে পুরসভার তরফে কোনও প্রচারই নেই। পুলিশি ধরপাকড়ও চোখেপড়েনি বলে দাবি করেছেন বহু সাধারণ মানুষ।
লক্ষ্মীপুজোর রাতে এ শহরে শব্দবাজি ফাটানোর প্রবণতা দীর্ঘদিনের। আদালতের নির্দেশের পরেও তা রোধ হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই পুরসভা লক্ষ্মীপুজোয় শব্দবাজির তাণ্ডব ঠেকাতে প্রচারে নামে। তার পরেও সেই তাণ্ডব পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হয়নি। এ বারএখনও প্রচার না-হওয়ায় ‘শব্দ-সন্ত্রাস’ ফিরে আসবে বলে মনে করছেন অনেকে।পুরপ্রধান নারায়ণ সাহা অবশ্য জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর কারণে প্রচারে নামতে দেরিহয়েছে। আজ, রবিবার থেকে শব্দবাজি না ফাটানো নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার কর্মসূচি শুরু করা হবে। ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকে বলে দেওয়া হবে তাঁরা যেন শব্দবাজি মজুত বা বিক্রি নাকরেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নজরদারি শুরু হয়েছে।
গত বছর শব্দবাজির তাণ্ডব তুলনায় কম থাকায় বহু মানুষ স্বস্তি পান। শহরবাসীরঅভিজ্ঞতা, লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়ে যায় শব্দবাজি ফাটানো। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। বহু মানুষ ভয়ে দরজা-জানলা বন্ধ করে নিজেদের ঘরবন্দি রাখেন।লক্ষ্মীপুজোর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যেতেও অনেকে ইতস্তত করেন। রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায়। চারদিক বারুদের গন্ধ ও কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়।শহরের এক প্রবীণের কথায়, ‘‘এ বারেও মনে হচ্ছেদরজা-জানলা বন্ধ করেই লক্ষ্মীপুজোর রাত কাটাতে হবে। পুলিশ বা পুরসভা কি কিছু করবে? আমি হৃদ্রোগী। আওয়াজে অসুবিধা হয়।’’হাবড়ার বাসিন্দা তথা সিপিএম নেতা আশুতোষ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘পুরসভার পক্ষ থেকে দ্রুত মানুষকে সচেতন করতে প্রচারশুরু করতে হবে। পুলিশকেও এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)