এই ঘরেই চলত চিকিৎসা।
ঘটনা ১: সকাল সাড়ে ১১টা। এক মহিলাকে ট্রলিতে শুইয়ে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলেন কয়েক জন। সেখানে তখন রোগী দেখছিলেন নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ওই মহিলার প্রাথমিক পরীক্ষা করে জানালেন, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই।
ঘটনা ২: পাথরপ্রতিমা জি-প্লট থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উজিয়ে এক মানসিক রোগীকে হাসপাতালে এনে তাঁর আত্মীয়েরা শুনলেন, মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এখন মেলে না।
উপরের দু’টি উদাহরণ ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশ্যালিটি জেলা হাসপাতালের। নামে সুপার স্পেশ্যালিটি হলেও বর্তমানে এখানে কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে সেখানে এক জন মহিলা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন। তিনি অসুস্থতার কারণে চার মাস ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার পরেও কাজে যোগ দেননি।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন রোগী এবং তাঁদের পরিজনেরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশ্যালিটি জেলা হাসপাতালে ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, বারুইপুর মহকুমায় মানসিক রোগীদের চিকিৎসা হতো প্রতি দিন গড়ে ৫০ জন মনোরোগী সেখানে আসতেন। এখান থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণের কাজও হতো। কিন্তু এখন সব বন্ধ। এখন ওই এলাকার মনোরোগীদের নিয়ে যেতে হয় কলকাতার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে।
পাথরপ্রতিমার থেকে আসা এক মনোরোগীর আত্মীয় সোমনাথ জানার ক্ষোভ, ‘‘জেলা হাসপাতালে মনোরোগের চিকিৎসা হয় জেনেই এসেছিলাম। কিন্তু এসে জানলাম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই।’’ ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই মহিলা চিকিৎসক ছুটিতে রয়েছেন। তবে মানসিক রোগীদের চিকিৎসার বিকল্প ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy