E-Paper

‘বড়বাবু’র উদ্যোগে স্কুলে ফিরল দুই ভাই

বিষয়টি জেনে বাবা-মাকে ডেকে পাঠান ওসি। দম্পতি জানিয়ে দেন, পড়াশোনার খরচ বহন করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।

সামসুল হুদা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪৬
দুই কিশোরকে নিয়ে স্কুলে ওসি।

দুই কিশোরকে নিয়ে স্কুলে ওসি। নিজস্ব চিত্র।

‘স্কুলছুট’ দুই বালককে ফের শিক্ষার পরিবেশে ফেরালেন থানার ‘বড়বাবু।’ স্কুলে ভর্তি করিয়ে কিনে দিলেন নতুন বই, পোশাক।

কয়েক দিন আগে শীতের রাতে টহল দিতে গিয়ে উত্তর কাশীপুর থানার ওসি অমিত চট্টোপাধ্যায় রাস্তার ধারে খেলতে দেখেন দু’জনকে। কথা বলে জানতে পারেন, তারা আগে স্কুলে যেত। বাবা দিনমজুর, মা অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। আর্থিক সঙ্কটেই পড়াশোনা বন্ধ হয়েছে তাদের।

বিষয়টি জেনে বাবা-মাকে ডেকে পাঠান ওসি। দম্পতি জানিয়ে দেন, পড়াশোনার খরচ বহন করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। এরপরেই নিজেই দু’জনকে স্কুলে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন ওসি। বৃহস্পতিবার তাজাফ্ফর এবং মোস্তাকিনের জন্য নতুন পোশাক, জুতো, বইপত্র, টিফিন বক্স-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দেন। নিয়ে যান কাশীপুর চড়কপোতা আপার প্রাইমারি স্কুলে। বছর তেরোর তাজাফ্ফরকে সপ্তম শ্রেণিতে এবং বারো বছরের মোস্তাকিনকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। দু’জন যাতে নিয়মিত স্কুলে যায়, তা দেখার জন্য বাবা-মাকে নির্দেশ দিয়েছেন ওসি। পাশাপাশি, থানার এক মহিলা অফিসারকে তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন। নিজেও সময় পেলে পড়াবেন বলে জানিয়েছেন।

তাজাফ্ফরদের বাবা মোজাফ্ফর মল্লিক বলেন, “বড়বাবু যে ভাবে পাশে দাঁড়ালেন, তাতে আমার ছেলেরা মানুষ হলে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি কিছু হতে পারে না!”

চড়কপোতা আপার প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তাপসী বিশ্বাসের কথায়, “পুলিশ কর্তা শিশুদের স্কুলে ভর্তি করাতে এনেছেন— এই ঘটনা অভূতপূর্ব এবং দৃষ্টান্তমূলক।” ওসি বলেন, “পড়াশোনা সকলের অধিকার। এই দায়িত্ব নিতে পেরে আমি খুশি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kashipur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy