Advertisement
E-Paper

ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত বৃদ্ধ দম্পতি

বুধবার রাত তখন সওয়া ১টা। স্ত্রীর চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন বৃদ্ধ স্বামী। দেখেন, উঠোনের পাশে স্ত্রী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মাটিতে পড়ে রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:১৮
অনিতা ও নারায়ণচন্দ্র হালদার।

অনিতা ও নারায়ণচন্দ্র হালদার।

বুধবার রাত তখন সওয়া ১টা। স্ত্রীর চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন বৃদ্ধ স্বামী। দেখেন, উঠোনের পাশে স্ত্রী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মাটিতে পড়ে রয়েছেন। সাত পাঁচ না ভেবে বৃদ্ধ হাত দিয়েই স্ত্রীর শরীর থেকে ওই তার সরিয়ে দিতে যান। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনিও। বাবার চিৎকারে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ছেলে। জড়ো হন পাড়ার লোকজন। বাঁশ দিয়ে ওই দম্পতির শরীর থেকে তার সরানো হয়। হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে হাবরা থানার খারো বেলের মাঠ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন অনিতা হালদার (৬০) ও নারায়ণচন্দ্র হালদার (৬৮)। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওই ঘটনায় মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন। তাঁরা আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও দাবি করেছেন বিদ্যুৎ দফতরের কাছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণবাবু ভ্যান চালাতেন। উপরে টিন ও দেওয়ালের ঘর। ছেলে তারক একটি মুড়ি ভাজার কারখানায় কাজ করেন। বাড়ির বারান্দায় একটি ঘুপচি ঘরে ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থাকতেন। ছেলে-বৌমা ঘরে শুতো। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ রাতের খাওয়া শেষ করে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়েন।

তারপরে রাতে ওই কাণ্ড।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণবাবুর উঠোনের পাশ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন চলে গিয়েছে। ওই তার রাতে ছিঁড়ে পড়ে ঝুলে ছিল। অনিতাদেবী রাতে বাথরুমে যাবেন বলে ঘরের বাইরে উঠোনে আসেন। সে সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

প্রতিবেশীদের দাবি, উঠোনের প্রায় উপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। তারগুলো গাছের ডালপালার মধ্যে দিয়ে লাগানো হয়েছে। বিদ্যুতের তার গাছের ডালে দীর্ঘ দিন ধরে ঘষা খেতে খেতে ছিঁড়ে পড়েছে বলে অনুমান। এ সব নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের নজরদারি ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিবেশী তাপস মিত্র বলেন, ‘‘বাণীপুরের বিদ্যুৎ দফতরে ফোন করে খবর দেওয়া হয়। ওঁদের কাছে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।’’ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুৎ দফতেরর কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। গ্রামবাসীদের তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, কোথাও বিপজ্জনক ভাবে তার ঝুলে থাকলে তা মেরামত করে দেওয়া হবে। যদিও বাণীপুর বিদুৎ দফতরে যোগাযোগ করা হলে এক কর্মী ফোন ধরে ঘটনার কথা শুনে বলেন, ‘‘কথা বলার মতো কেউ নেই অফিসে।’’

এরপরেই ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়।

Open Wire electrocuted Old Couple
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy