ক্যানিং থানার হোমগার্ডের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত করতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল পুলিশ। ছয় সদস্যের ওই তদন্তকারী দলের প্রধান করা হয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্তকে। অন্য দিকে, হোমগার্ডকে খুনে অভিযুক্ত ক্যানিং থানার সাব-ইনস্পেক্টর সায়ন ভট্টাচার্য বর্তমানে পলাতক বলে পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ক্যানিং থানার পুলিশ কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয় মহিলা হোমগার্ড গুলজান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমি মোল্লার দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার বাসিন্দা তিনি। শুক্রবার তাঁকে ফোনে না পেয়ে কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন বোন রুকসানা খাতুন। তিনিই দিদির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হোমগার্ডের পরিবারের দাবি, রেশমি আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে খুন করা হয়েছে। তারা অভিযোগ তুলেছে ক্যানিং থানারই সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে। ওই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার কাকা। তাঁর অভিযোগ, ভাইঝির সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল ওই পুলিশকর্মীর। তা জানাজানি হতেই রেশমিকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
এর মধ্যে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর খোঁজ মিলছে না। স্বাভাবিক ভাবেই পুরো ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খুন না আত্মহত্যা, এখনও পরিষ্কার করে জানায়নি পুলিশ। সোমবার জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে তারা। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর চেয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে খুন হন রেশমির বাবা রশিদ মোল্লা। সেই ঘটনার পর বিধায়ক শওকত মোল্লার উদ্যোগে পরিবারের বড় মেয়ে হিসাবে রেশমিকে হোমগার্ডের চাকরি দেয় রাজ্য। বাড়ির কর্তার অকালমৃত্যুর ক্ষত কাটতে না কাটতেই বড় মেয়ের রহস্যমৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে ওই পরিবার।