ক্যানিং থানার পুলিশ কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছে মহিলা হোমগার্ডের দেহ। যার পর ওই থানারই সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করল মৃতার পরিবার। রবিবার সকাল থেকে এ নিয়ে শোরগোল এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিং থানায় চাকরি করতেন গুলজান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমি। বাড়ি জীবনতলা থানার মৌখালি এলাকায়। কর্মসূত্রে পুলিশ কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি।
পুলিশের একটি সূত্রে খবর, শুক্রবার ২২ বছরের রেশমি ডিউটি ছেড়ে হঠাৎ ক্যানিং থানার পিছনে কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন ওই হোমগার্ড। তার পর আর থানায় যাননি।
এর মধ্যে বার বার বাড়ির থেকে ফোন করা হয় রেশমিকে। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ থানায় যোগাযোগ করে পরিবার। রেশমির বোন রুকসানা খাতুন সোজা কোয়ার্টারে চলে গিয়েছিলেন। তিনি কোয়ার্টারে দিদির ঘরের ঢুকে দেখেন ওড়না গলায় প্যাঁচানো অবস্থায় সিলিং থেকে ঝুলছে দিদির দেহ। তাঁর চিৎকার-চেঁচামেচিতে ক্যানিং থানার থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় তারা।
এর মধ্যে হোমগার্ডকে খুনের অভিযোগ তুলে ওই থানার সাব-ইনস্পেক্টরকেই অভিযুক্ত করেছে মৃত হোমগার্ডের পরিবার। এই মর্মে লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে। মৃতার পরিবারের দাবি, গুলজানের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন ওই পুলিশকর্মী। ওই নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। সে জন্যই রেশমিকে খুন করেছেন তিনি।
অন্য দিকে, পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেবে না তারা।
উল্লেখ্য, মৃতার বাবা রশিদ মোল্লা তৃণমূল কর্মী ছিলেন। ২ বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে খুন হন তিনি। তার পরেই হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয় রশিদের বড় মেয়েকে।