নবম শ্রেণির ছাত্রী এক নাবালিকার গোপন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী দাদুর বিরুদ্ধে! দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা (পকসো) আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের বয়স ৫২ বছর। নির্যাতিতা নাবালিকা তাঁরই প্রতিবেশী। নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী সোনারপুরে দাদু ও ঠাকুমার কাছে থাকত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের কাছে একটি অ্যানড্রয়েড মোবাইল ছিল। নিজের ফোন না থাকায় মাঝেমধ্যেই অভিযুক্তের ফোনটি দেখতে চাইত নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সুযোগেই এক দিন তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন ওই প্রৌঢ়। নাবালিকার কয়েকটি গোপন ছবিও তোলেন। অভিযোগ, এর পর থেকেই সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন প্রৌঢ়। ভয় দেখিয়ে একাধিক বার তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার বিকেলেও একই ঘটনা ঘটলে শেষমেশ বিষয়টি ঠাকুমাকে জানায় ওই কিশোরী। তিনিই প্রতিবেশীদের ডাকেন। এর পর সকলে মিলে অভিযুক্তকে চেপে ধরতেই অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন:
ওই ঘটনায় বুধবারই সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পরেই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার ডেপুটি সুপার (অপরাধ দমন) ফয়সাল বিন আহমেদ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।’’ বৃহস্পতিবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।