গ্রামে আনা হয় ওই মৎস্যজীবীর দেহ। নিজস্ব চিত্র
ঘটনাস্থল সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গল। গত দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই জঙ্গলে মাছ এবং কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মৃত্যু হল তিন জনের। বুধবার ঝিলার জঙ্গলে বাঘে টেনে নিয়ে গিয়েছিল গোসাবার কুমিরমারির রায়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুনীল সরদারকে। তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ তেষ্টা করেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীল-সহ মোট ৩ জন মাছ এবং কাঁকড়া ধরতে নৌকায় চড়ে ঝিলার জঙ্গলে গিয়েছিলেন। সুনীলের সঙ্গীরা জানিয়েছেন, বুধবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঝিলা ২ নম্বর জঙ্গল লাগোয়া খাঁড়িতে তাঁরা মাছ ধরা শুরু করেন৷ কিন্তু কিছু ক্ষণ পর অন্য ২ সঙ্গীর থেকে অল্প পিছিয়ে পড়েন সুনীল। এই সুযোগেই জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপর। বাকি মৎস্যজীবীরা এই দৃশ্য দেখে তখনই লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাঘের উপর। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে চলে বাঘে-মানুষে লড়াই। অবশেষে বেগতিক বুঝে সুনীলকে ছেড়ে দিয়ে গভীর জঙ্গলে চলে যায় বাঘটি। সুনীলকে নৌকায় করে নিয়ে আসার সময় তাঁর মৃত্যু হয় তাঁর।
নিহত মৎস্যজীবীর দেহ গ্রামে পৌঁছতেই ভিড় ভেঙে পড়ে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বসিরহাট রেঞ্জ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মৎস্যজীবীদের জঙ্গলে ঢোকার কোনও বৈধ অনুমতিপত্র ছিল না। এই ঘটনার পরেই গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে। এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। এই সময়ে জঙ্গলে প্রবেশেও নিষেধ করা হচ্ছে। গত ৭ জুন মাছ ধরতে গিয়ে আনন্দ ধর নামে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয় বাঘের হানায়। তার সপ্তাহখানেক আগে বাঘের কামড়ে মারা যান এক মহিলা মৎস্যজীবীও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy