Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

‘সুস্থ’ হয়ে বাড়ি ফিরে মৃত

দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের দাসপাড়ার বাসিন্দা সুরজিৎ দাস (২১) গত বুধবার জ্বরে আক্রান্ত হন। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় পরিবার। বৃহস্পতিবার জ্বর না কমায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য শিবিরে ভিড় সুবর্ণপুরে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য শিবিরে ভিড় সুবর্ণপুরে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৯
Share: Save:

ফের জ্বরে ভুগে দু’জনের মৃত্যু হল দেগঙ্গায়।

শনিবার রাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এক জনের। পরিবারের ক্ষোভ, কেন সম্পূর্ণ চিকিৎসা না করেই ‘সুস্থ’ বলে ছেড়ে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে, গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির না থাকায় সঠিক চিকিৎসা না করানোয় আর একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের দাসপাড়ার বাসিন্দা সুরজিৎ দাস (২১) গত বুধবার জ্বরে আক্রান্ত হন। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় পরিবার। বৃহস্পতিবার জ্বর না কমায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে।

ওই দিনই অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার আরজিকরে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে শুক্রবার চিকিৎসক ‘সুস্থ’ বলে ছুটি দিয়ে দেন বলে দাবি পরিবারের। বাড়ি ফিরে শনিবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। সুরজিতের বাবা কালী দাস বলেন, ‘‘কেন আরজিকরের চিকিৎসক সুস্থ বলে ছুটি দিয়ে দিলেন। সঠিক চিকিৎসা পেলে আমার ছেলেটা মারা যেত না।’’

অন্য দিকে, চাকলা পঞ্চায়েতের সুবর্ণপুর গ্রামে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন পদ্ম বিবি (৩৫)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পদ্ম ছাড়াও তাঁর স্বামী, ও মা জ্বরে আক্রান্ত। স্বামী কাসেম আলি ওস্তাদার রাজারহাটের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। মা নুরজাহান বিবির চিকিৎসা চলছে বারাসত জেলা হাসপাতালে।

পদ্মর চিকিৎসা চলছিল বাড়িতেই। রক্তের নমুনা শনিবার সকালে পাঠানো হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। রাতেই অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। রবিবার রক্তের রিপোর্ট হাতে এলে জানা যায়, তাঁর প্লেটলেট ৭০ হাজারে নেমে গিয়েছিল।

গ্রামবাসীর ক্ষোভ, গ্রামে কয়েক দিন আগে মৃত্যু হয়েছে বছরে সতেরোর মাহাব্বুল্লা মণ্ডলের। তারপরে ফের মৃত্যু। রাকিবুক পুরকাইত, মনিরুল ইসলামরা বলেন, ‘‘সরকারি স্বাস্থ্য শিবির নেই। বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত। গ্রামের বেশ কয়েকজন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা চাই, গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির চালু করা হোক।’’

এ দিন সুবর্ণপুর গ্রামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড় ছিল প্রচুর। সকলেরই দাবি, সরকারি স্বাস্থ্য শিবির চালু হোক চাকলায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE