— প্রতীকী ছবি।
জলের দরে সোনার ঠাকুরের মূর্তি কিনতে গিয়ে প্রতারকদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
খুব সস্তায় সোনার তৈরি ঠাকুরের মূর্তি বিক্রি হবে। ইদানীং এমন প্রস্তাব পেয়েছেন বহু মানুষ। যাঁরা সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে কম খরচে সোনার ঠাকুর কিনতে চেয়েছেন, তাঁরাই প্রতারিত হয়েছেন। কিন্তু তবুও প্রস্তাবে সাড়া দেওয়া লোকের সংখ্যা কমেনি। তেমনই ঘটনা ঘটল কুলতলিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা অসীম হাওলাদারের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ তৈরি হয় কুলতলির জালাবেড়িয়ার বাসিন্দা আরিফ শেখের। অসীমকে আরিফ প্রস্তাব দেন, তাঁর এক পরিচিতের কাছে একটি সোনার তৈরি ঠাকুরের মূর্তি রয়েছে। সেই পরিচিতের এই মুহূর্তে টাকার খুব প্রয়োজন। তাই কমদামে ঠাকুরটি বিক্রি করে দিতে চান। দাম শুনে লোভে পড়ে যান অসীম। একদিন কুলতলিতে এসে সোনার ঠাকুরটি দেখেও যান অসীম। নিশ্চিত হওয়ার পর কেনার ব্যাপারে মনোস্থির করেন তিনি। সেই মতো কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে কুলতলিতে হাজির হন তিনি। আরিফ তাঁকে নিজের বাইকে বসিয়ে পরিচিতের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কিন্তু একটি নির্জন জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে যায় আরিফের বাইক। তা দেখে সন্দেহ হয় অসীমের। পালানোর চেষ্টা করতেই হামলা করার অভিযোগ আরিফের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সেই সময় আরিফ ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন অসীমের উপর। তার পর তাঁকে মেরেধরে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালান। অসীমের দাবি, ব্যাগে ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা।
স্থানীয় মানুষ অসীমকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় অসীমকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলতলি ব্লক হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারুইপুর চিকিৎসাধীন অসীম। এখনও খোঁজ মেলেনি অভিযু্ক্ত আরিফের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy