দেবাঞ্জন দেব ও সন্দীপ মান্না নিজস্ব চিত্র।
ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে এবার প্রতারণার অভিযোগ করলেন তাঁর মামা। ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা সন্দীপ মান্না নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, কলকাতায় তাঁর আঁকা ছবির প্রদর্শনীর জন্য নানা অছিলায় মোটা টাকা হাতিয়ে নেয় ভাগ্নে দেবাঞ্জন। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপাল এবং রাজ্যের একাধিক দফতর থেকে শংসাপত্র পাইয়ে দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। যদিও সব শংসাপত্রই ভুয়ো বলেই মনে করছেন তিনি। সন্দীপ বলেন, ‘‘ছেলের মতো ভাল বাসতাম ওকে। ভাবিনি এই ধরনের কাজ করবে আমাদের সঙ্গে। আমাকে এমন ভাবে প্রতারণা করল, একজন শিল্পী হিসেবে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’’
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্দীপ মান্না পেশায় চিত্রশিল্পী। নাট্য পরিচালক হিসেবেও জেলায় বিশেষ পরিচিতি রয়েছে তাঁর। ২০১৯ সালের জুন মাসে তাঁর আঁকা ছবি নিয়ে কলকাতায় একটি প্রদর্শনী আয়োজন করার কথা জানিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। সেই অছিলায় মামার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। তবে অনেক করে বোঝানোর পর ৩৫ হাজার টাকাতেই প্রদর্শনীর আয়োজন করতে রাজি হন। ১১ জুন কলকাতার গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায় প্রদর্শনীর আয়োজনও করা হয়। এর পর একদিন দেবাঞ্জন তাঁর মামাকে জানান, রাজ্যপাল তাঁর আঁকা ছবি দেখে একটি শংসাপত্র পাঠাতে চেয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর স্বাক্ষর করা একটি শংসাপত্র হাতে আসে সন্দীপের। এর পর জুলাই মাসে তাঁকে রাজ্য চারুকলা কেন্দ্রের সদস্য করা হয়েছে বলে জানান দেবাঞ্জন। ২২ জুলাই থেকে সন্দীপের জন্য মাসিক সাড়ে ১১ হাজার টাকা ভাতারও ব্যবস্থা করেন তিনি। যদিও, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে সেই ভাতাও বন্ধ হয়ে যায়।
এর পর সম্প্রতি ভাগ্নের টিকা জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম ছোটে মামার। সন্দীপ মান্নার দাবি, রাজ্যপাল ও অন্যান্য জায়গা থেকে শংসাপত্র এসেছিল সেগুলো ভুয়ো হতে পারে। বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভাগ্নে দেবাঞ্জন প্রতারণা করে জাল সার্টিফিকেট পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy