প্রশাসনের খাতায় বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের চোরাডাকাতিয়া ‘নির্মল গ্রাম’ তকমা পেয়েছে। অথচ সেই গ্রামে ৩৯৭টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৯৭টি পরিবারের শৌচাগার তৈরি হয়েছে। ২০০ পরিবারের শৌচাগার তৈরি এখনও বাকি।
মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার তৈরি হওয়ার কথা। অথচ তা হয়নি। সেখানেই ওএনজিসির উদ্যোগে ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ প্রকল্পে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে তৈরি হচ্ছে শৌচাগার।
গ্রামে এখনও পর্যন্ত ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে ৪০টি পরিবারের শৌচাগার তৈরি হয়েছে। বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে ১১৭টি শৌচাগার তৈরি করেছেন। ওএনজিসির আর্থিক সহায়তায় প্রথম পর্যায়ে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী ৪০টি পরিবারের শৌচাগার তৈরি হয়েছে।
বাসন্তী ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে উঠোন-পিছু একটি করে শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে একই উঠোনে ৩-৪টি পরিবার থাকতে পারে। অনেকেই দাবি করছেন, প্রতিটি পরিবারের জন্য আলাদা শৌচাগার তৈরি করার। তা ছাড়া, ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে শৌচাগার তৈরির আগে উপভোক্তাদের থেকে ৪০০ টাকা নিয়ে সরকার শৌচাগার তৈরি করে দিত। এখন অনেকেই সেই শৌচাগার ভেঙে নতুন করে সরকারি প্রকল্পে শৌচাগার পেতে চাইছেন। কিন্তু এক বার কেউ সরকারি সুযোগ পেয়ে থাকলে পরে আর সেই সুযোগ পাওয়া সম্ভব নয়।
ওএনজিসি-র আর্থিক সহায়তায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ মডেল শৌচাগার তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকটি শৌচাগার তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২১ হাজার টাকা। এ বিষয়ে ওএনজিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চক্রধর মহাপাত্র বলেন, ‘‘ওএনজিসি প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল উত্তোলনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে সফল করতে নেমেছে। আন্দামান, বিহার, অসম, পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন এলাকায় নানা কাজ চলছে। তার মধ্যে শৌচাগার তৈরি একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প।’’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কর্ণধার লোকমান মোল্লা বলেন, ‘‘গ্রামের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী সকলকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা ছাড়াও পানীয় জল ও অন্যান্য পরিষেবার ব্যাপারে আবেদন করা হবে।’’ গ্রামের বাসিন্দা বিজয় বৈরাগী, সাহেব মোল্লা বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে আমরা কোনও শৌচাগার পায়নি। তবে গ্রামে কিছু মানুষ সরকারি প্রকল্পে শৌচাগার পেয়েছেন। সেখানে ওএনজিসি আমাদের গ্রামে সরকারি শৌচাগারের চেয়ে ভাল শৌচাগার তৈরি করে দিচ্ছে।’’
বাসন্তী ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘শুনেছি ওই গ্রামে ওএনজিসি কিছু শৌচাগার তৈরি করছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তবে কোনও সংস্থা যদি মানুষের জন্য কিছু করতে চায় তবে তা করতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy