বেহাল: হিঙ্গলগঞ্জে বহু বাঁধেরই এমন হাল। নিজস্ব চিত্র।
সুন্দরবন রক্ষায় মাস্টার প্ল্যান তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সামসেরনগরের সভা থেকে সুন্দরবনের নদীবাঁধের সংস্কার এবং স্থায়ী বাঁধ তৈরির আশ্বাসও দেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও বাঁধ সংস্কারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকার অনেকের দাবি, এর আগে একাধিক নেতা-মন্ত্রী স্থায়ী বাঁধের আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও বিভিন্ন সময়ে বাঁধ তৈরির কথা বলেছেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি মানা হয়নি। বহু জায়গায় সংস্কারের অভাবে বেহাল বাঁধ। স্থায়ী বাঁধের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও কাজ এগোয়নি বলে অভিযোগ।
মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জে এখনও প্রায় দু’শো কিলোমিটার আয়লা বাঁধ নির্মাণের কাজ বাকি। সন্দেশখালির বাউনিয়া, আতাপুর, মণিপুর, হিঙ্গলগঞ্জের মালোপাড়া, সর্দারপাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় নদীবাঁধ বেহাল। সামান্য ঝড়-বৃষ্টি, কটালেই আতঙ্কে ভোগেন এলাকার মানুষ।
মঙ্গলবার যে এলাকায় সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তার কাছেই সর্দারপাড়ায় রায়মঙ্গল নদীর বাঁধও বেহাল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, একটু এদিক-ওদিক হলেই বাঁধ ভেঙে বড় এলাকা প্লাবিত হতে পারে। অভিযোগ, প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিলেও বাঁধের সংস্কার হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাসের পরেও স্থায়ী বাঁধ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে অনেকেই।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজল মণ্ডল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বাঁধ সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সেই আশ্বাস আদৌ ফলপ্রসূ হবে তো?” সুবল সর্দার বলেন, “দিদি তো আগেও অনেক কিছুই বলেছিলেন নদীবাঁধ নিয়ে। কিন্তু সে ভাবে কাজ হয়নি। তিনি আবার বাঁধ সংস্কারের কথা জানিয়েছেন। ঝড়-বৃষ্টিতে আমাদের আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। তাড়াতাড়ি নদীবাঁধ সংস্কার হলে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারি।”
হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘সুন্দরবন এলাকার দু’চারটি জায়গায় বাঁধ খানিকটা দুর্বল হলেও অধিকাংশ বাঁধ মেরামতির কাজ আমরা করে ফেলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy