E-Paper

বেতনা নদীতে নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ

বুধবার মহকুমাশাসকের নির্দেশে বাগদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নোটিস দিয়ে যাবতীয় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ০৯:০২
Construction work beside betna river stopped

নদীর উপর এই ধরনের নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র

দিন কয়েক আগে বাগদার বেতনা (বেত্রাবতী) নদী দখল করে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল। বাগদা বাজার সংলগ্ন হ্যারিসন রোড এলাকায় ওই নদীর জমি দখল করে বাঁশ-টিন এবং ইটের গাঁথনি দিয়ে প্রায় ১৮টি দোকানঘর তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই খবর আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়।

এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বুধবার মহকুমাশাসকের নির্দেশে বাগদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নোটিস দিয়ে যাবতীয় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, আপাতত নতুন করে নদীর মধ্যে কোনও নির্মাণ করা যাবে না।

পুলিশের পদক্ষেপে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে তাঁরা চান, নির্মাণ বন্ধই শুধু নয়, ইতিমধ্যে নির্মিত কাঠামোগুলি দ্রুত ভেঙে দিতে হবে। তাঁরা বেতনা নদীর সংস্কারেরও দাবি তুলেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, এর আগেও বার বার নদীর মধ্যে নির্মাণ হয়েছে। তবে প্রশাসন ছিল নির্বিকার। বাগদা বাজার-সংলগ্ন এলাকায় নদীর জমিতে নির্মাণ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে ৩০ এপ্রিল পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপরে ব্লক ভূমি দফতর থেকেও কর্মীরা গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিছু দিন কাজ বন্ধের পরে দিন কয়েক আগে ফের নির্মাণ শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

সংস্কারের অভাবে বেতনা দীর্ঘ দিন ধরেই মৃতপ্রায়। কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। শুধু ওই বাজার এলাকাই নয়, ব্লকের অন্যান্য জায়গায়ও নদীকে রুদ্ধ করা হয়েছে। কোথাও মাটিরবাঁধ দেওয়া হয়েছে, কোথাও নদীর জমি কেটে ছোট ছোট জলাশয়তৈরি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। কোথাও কাটা হচ্ছে নদীর মাটি। অতীতে বাগদা ব্লকের একাংশ এবং বাগদা বাজার এলাকার বর্ষারজল নিকাশির প্রধান মাধ্যম ছিল বেতনা। কিন্তু এখন নদী দিয়ে জমা জল প্রায় নামে না বললেই চলে। তার উপরে নদী ক্রমশ দখল হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও বেহাল। এ বার পাকাপাকি ভাবে এ ধরনের বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হোক, চাইছেনস্থানীয় মানুষ।

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে প্রশাসনিক কর্তাদের মনে হয়েছে নির্মাণ কাজ হয়েছে নদীর জমিতে। তাঁদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত এলাকায় কোথাও নির্মাণ কাজের জন্য পঞ্চায়েতের অনুমতি নিতে হয়। পাশাপাশি, আরও কিছু নিয়মকানুন মানতে হয়। বিডিও পঞ্চায়েতের অনুমতির বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। বিএলআরও দেখছেন জমিটা নদীর মধ্যে কি না। এই নির্মাণের পিছনে কাদের হাত আছে, খোঁজ করছে পুলিশ।

বনগাঁর মহকুমাশাসক প্রেমবিভাস কাঁসারি বলেন, ‘‘এই নদীর বিষয়টি বিদ্যাধরী ড্রেনেজ ডিভিশনকে জানানো হয়েছে। নদীটি ওদের অধীনে কি না তা ওরা খতিয়ে দেখছে। বিষয়টি ওঁদের এক্তিয়ারে হলে ওঁরা পদক্ষেপ করবেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bagda Illegal Construction

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy