বার্তা: গ্রামবাসীদের বোঝাচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
কালীপুজোর আগে সীমান্তবর্তী গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাসিন্দাদের সচেতন করছে পুলিশ। এখানকার অন্যতম প্রধান উৎসব কালীপুজো। প্রতি বছরই হেলেঞ্চা ও বাগদায় বড় বড় কালীপুজো হয়। রকমারি মণ্ডপ, প্রতিমা, আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে এলাকা। সপ্তাহখানেক ধরে চলে উৎসব। পুজোর দিনগুলিতে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বহু মানুষ হেলেঞ্চা ও বাগদায় আসেন। সারা রাত ধরে চলে প্রতিমা দর্শন।
অভিযোগ, এর সুযোগ নিয়ে প্রতি বছর এই সময়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে কিছু দুষ্কৃতী। বাগদা ব্লকের সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলিতে বেড়ে যায় চুরি-ডাকাতি। গ্রামবাসীরা ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যাওয়ার পরে ফাঁকা বাড়িতে আগে একাধিক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এবার আগে থেকে সতর্ক পুলিশ। শনিবার দুপুরে আষাঢ়ু, রণঘাট, কুলিয়া, জগদীশপুর, হামকুড়া-সহ প্রায় পনেরোটি সীমান্তবর্তী গ্রামে সচেতনতার প্রচার চালায় বাগদা থানার পুলিশ। বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের জড়ো করে সচেতন করা হয়। হ্যান্ড মাইক নিয়ে প্রচার চালানো হয়, বিলি করা হয় লিফলেট। গ্রামবাসীদের অনুরোধ করা হয়েছে, বাড়ি সম্পূর্ণ ফাঁকা রেখে না বেরোতে।
অতীতে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা এসে গ্রামে গা ঢাকা দিয়ে থাকে, নানা অপরাধমূলক কাজ করে পালিয়ে যায়। সে ব্যাপারেও এ দিন সতর্ক করা হয়েছে গ্রামবাসীদের। গ্রামে নতুন কোনও লোক বা ভাড়াটিয়া এলেও সম্পূর্ণ তথ্য পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়াও, শব্দবাজির ব্যবহার, সাইবার অপরাধ নিয়েও সচেতন করা হয়েছে গ্রামবাসীদের।
পুলিশ জানিয়েছে, চুরি রুখতে প্রতিটি গ্রামে যুবকদের নিয়ে ছোট দল তৈরি করে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই দলগুলির সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ সব সময়ে যোগাযোগ রেখে চলবে। তা ছাড়া, উৎসবের দিনগুলিতে গ্রামে টহলদারির ব্যবস্থাও করা হবে। কালীপুজোর আগে পুলিশের এই পদক্ষেপে খুশি গ্রামবাসীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy