প্রতীকী ছবি।
সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরে জড়িত অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে মহিলাদের হাতে মার খেয়ে রক্ত ঝরল দুই পুলিশকর্মীর।
বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ থানার বকচোরা গ্রামে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে বাপ্পা মোল্লার সঙ্গে গোলমাল বাধে স্থানীয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। অভিযোগ, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তেজনা ছড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে। নড়েচড়ে বসেন পুলিশকর্তারাও।
এক পুলিশকর্তা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের একটি দল বাপ্পাকে ধরতে যায় তার বাড়িতে। পুলিশ আসছে জানতে পেরে বাড়ি ছেড়ে পালায় বাপ্পা। পুলিশ তাকে না পেয়ে এক ভাই সাদ্দামকে তুলে আনার চেষ্টা করে।
রুখে দাঁড়ায় পরিবারের লোকজন। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি-ধস্তাধস্তি বাধে। অভিযোগ, সে সময়ে বাপ্পার মেজো বৌদি বিলকিস বিবি মোটা কাঠের চ্যালা দিয়ে কনস্টেবল সুবীর মণ্ডলের মাথায় মারে। মারের চোটে কনস্টেবল রবীন মণ্ডলের হাত ভাঙে। দুই পুলিশকর্মীকে মিনাখাঁ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পুলিশ কর্মীদের বাকিরাও অল্পবিস্তর মারধর খান বলে অভিযোগ। মহিলাদের বাধায় শেষ পর্যন্ত সাদ্দামকে ছেড়ে কোনও রকমে এলাকা ছাড়ে পুলিশ।
রাতে বসিরহাটের এসডিপিও শ্যামল সামন্ত, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, হাড়োয়ার ওসি এবং সিআই-সহ বিশাল বাহিনী যায় বকচোরা গ্রামে। ততক্ষণে অবশ্য পুলিশের উপরে হামলাকারীরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে এলাকা ছেড়েছে। ঘোলার দোতলা বাড়ির গেট ‘সিল’ করে দিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বাপ্পার বাবা রুহুল আমিন মোল্লা ওরফে ঘোলা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। পরিবারটির সঙ্গে বিশেষ কেউ মেলামেশা করে না। বাপ্পা ও তার ভাইদের দৌরাত্ম্য নিয়ে পুলিশও উদাসীন। এক মহিলার কথায়, ‘‘যখন তখন যাকে তাকে মারধর করে বাপ্পারা। বকচোরা বাজারের ব্যবসায়ীদের হুমকি দেয়। ওদের শাস্তি চায় গ্রামের মানুষ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy