Advertisement
০২ মে ২০২৪
school dropouts

স্কুল পালিয়ে পার্কে দুই কিশোরী, উদ্ধার করে আনল পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ে দু’টি পড়ে সপ্তম শ্রেণিতে। বৃহস্পতিবার তারা স্কুলে এসেছিল। কিন্তু ক্লাসে না গিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সীমান্ত মৈত্র  
হাবড়া শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৩৪
Share: Save:

স্কুল পালিয়ে বিনোদন পার্কে ঘুরতে গিয়েছিল দুই কিশোরী। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। আপাতত কাউন্সেলিং করতে তাদের ঠাঁই হয়েছে একটি হোমে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ায়।

পুলিশ জানিয়েছে, মেয়ে দু’টি পড়ে সপ্তম শ্রেণিতে। বৃহস্পতিবার তারা স্কুলে এসেছিল। কিন্তু ক্লাসে না গিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে যায়। মেয়েরা স্কুলে নেই জানতে পেরে অভিভাবকেরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশজানতে পারে, দুই কিশোরী হাবড়া স্টেশনে এসে স্কুলের পোশাক পরিবর্তন করে শিয়ালদহগামী ট্রেনে উঠেছে। সঙ্গে এক যুবকও আছে।

বিষয়টি জানানো হয় হাবড়া স্টেশন ম্যানেজারকে। তিনি অন্যান্য স্টেশনে খবর দেন। জিআরপিকেও নজর রাখতে বলা হয়।

কিছুক্ষণ পরে খবর আসে, দু’টি মেয়ে হাবড়ার বিড়া এলাকায় একটি বিনোদন পার্কে ঘুরছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের নিয়ে আসে। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে দেওয়া হয় দু’জনকে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিনোদন পার্ক থেকে অন্য এক কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়। সে-ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

হাবড়া থানার আইসি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেছি, সিসি ক্যামেরা বসাতে। ছাত্রীদের উপরে নজরদারি আরও বাড়াতে।’’ প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্রীদের একাংশ উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য অভিভাবকদেরও অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, পরিচালন সমিতির বৈঠকে সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’

স্কুল থেকে পালিয়ে বা স্কুলে আসার পথে অন্যত্র বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে চলে যাওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে করছে শিক্ষক মহল। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া বা নেশা করার প্রবণতাও বাড়ছে। কিছুদিন আগে বনগাঁর একটি স্কুলে এক ছাত্রীকে স্কুলের শৌচাগারে সিগারেট খাওয়ার সময়ে ধরে ফেলেন শিক্ষিকারা। অভিভাবকদের জানানো হয় বিষয়টি।

স্কুলে এসে কেউ চলে গেল কি না, সেই নজরদারি অনেক স্কুলেই নেই। কিছু স্কুল অবশ্য এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করেছে। বনগাঁর গাঁড়াপোতা গালর্স হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ববি মিত্র বলেন, ‘‘টিফিনের পরে স্কুল থেকে বেশ কিছু ছাত্রী বেরিয়ে যাচ্ছিল। এই প্রবণতা রুখতে এখন স্কুল ছুটি না হওয়া পর্যন্ত প্রধান গেট বন্ধ রাখা হচ্ছে। ছাত্রীদের মোবাইল নিয়ে আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।’’ বনগাঁ শহরের কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী উকিল জানান, এক বার স্কুলে ঢুকে গেলে ছুটি না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রীদের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। বাবা-মা ছাড়া অন্য কোনও অভিভাবকদের কাছে ছাত্রীদের স্কুল চলাকালীন ছাড়াও হয় না। কোনও ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুলেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। স্কুলে সিসি ক্যামেরা আছে। তার মাধ্যমেও নজরদারি চলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

school dropouts Habra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE