নজর: সোনার দোকানের সামনে চলছে টহল। নিজস্ব চিত্র
সোনার দোকানের নিরাপত্তার জন্য বনগাঁ পুলিশের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সোনার দোকানের মালিকদের স্বচ্ছ কাচের দরজা লাগানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে বাইরে থেকে সব দেখা যায়। কালো কাচ লাগাতে বারণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় নিরাপত্তা বাড়াতে সিসি ক্যামেরা, অ্যালার্ম ও নিরাপত্তারক্ষীরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বনগাঁ থানার আইসি সতীনাথ চট্টরাজ জানান, সোনার দোকানের নিরাপত্তার জন্য পুরসভা, রাজ্য সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় একশোটি সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
সম্প্রতি সোনারপুরে সোনার দোকান ও খড়দহে ডাকাতির ঘটনার পরে বনগাঁর সোনার দোকানের মালিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এখানে প্রায় আড়াইশোটি দোকান আছে। কিন্তু বেশির ভাগ দোকানে সিসি ক্যামেরা, অ্যালার্ম বা রক্ষী নেই। এমনকী, ভল্টগুলিও আধুনিক নয়।
বঙ্গীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির বনগাঁ শাখার সহ সম্পাদক তথা পুরসভার কাউন্সিলর দিলীপ মজুমদার বলেন, ‘‘২০১২ সালে ডাকাতির ঘটনার পরে আমরা প্রায় সত্তরটি দোকানে আধুনিক ভল্ট বসিয়েছি। তা ছাড়া, কিছু দোকানে সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, যত বেশি সম্ভব দোকানে ক্যামেরা ও অ্যালার্ম বসানোর।’’
সম্প্রতি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোনার দোকানের মালিক ও লজ মালিকদের নিয়ে পুলিশ একটি বৈঠক করে। ইতিমধ্যেই মোটরবাইকে করে পুলিশ সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের সোনার দোকানের সামনে টহল দিচ্ছে। হোটেল লজে নিয়মিত তল্লাশি চলছে।
বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘অতীতে দেখা গিয়েছে পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে এসেও বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা এখানে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। সে কারণে হোটেলগুলির উপরেও নজর রাখা হচ্ছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, সাদা পোশাকেও সোনার দোকানে নজর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি দোকান থেকে তিন সন্দেহজনক যুবককে পুলিশ পাকড়াও করেছে। রেজিস্ট্রার না থাকার জন্য একটি হোটেল পুলিশ সিল করে দিয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘জেলার প্রত্যেকটি পুরসভা এলাকাতেই সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy