Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

জীবনতলায় বেহাল পুলিশ আবাসন, ছাদ থেকে জল

ঘরের জানলা-দরজা নেই। বৃষ্টির জল রুখতে জানলায় প্লাস্টিক টাঙানো। ছাদের সিলিং খসে পড়ছে। শৌচাগারে পর্যাপ্ত জল নেই। এমনই অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে জীবনতলা থানার পুলিশ আবাসনের কর্মীদের। থানার নিজস্ব ভবন না থাকায় ক্যানিং ২ পঞ্চায়েত সমিতির ভবনে ২০১০ সালের ১৮ মার্চ তৎকালীন ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা থানার উদ্বোধন করেছিলেন।

এমনই হাল আবাসনের।—নিজস্ব চিত্র।

এমনই হাল আবাসনের।—নিজস্ব চিত্র।

সামসুল হুদা
জীবনতলা  শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৫ ০১:১৩
Share: Save:

ঘরের জানলা-দরজা নেই। বৃষ্টির জল রুখতে জানলায় প্লাস্টিক টাঙানো। ছাদের সিলিং খসে পড়ছে। শৌচাগারে পর্যাপ্ত জল নেই। এমনই অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে জীবনতলা থানার পুলিশ আবাসনের কর্মীদের।

থানার নিজস্ব ভবন না থাকায় ক্যানিং ২ পঞ্চায়েত সমিতির ভবনে ২০১০ সালের ১৮ মার্চ তৎকালীন ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা থানার উদ্বোধন করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জীবনতলা বাজারের অদূরে ১.৬৪ একর জমি চিহ্নিত করা হয় থানার নিজস্ব ভবন তৈরির জন্য। থানার ওই নতুন ভবন তৈরি করার কথা পুলিশ হাউজিং ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের। এখনও পর্যন্ত ওই জমির মাটি পরীক্ষা ছাড়া আর কোনও কাজই হয়নি বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিকে, থানার ভবন তৈরি না হওয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির অপ্রতুল ঘরে কাজ চালাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। জায়গার অভাবেই থানার মালখানা নেই। ফলে বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পুরুষ ও মহিলা লকআপ এতটাই ছোট, সেখানে এক সঙ্গে ৮-১০ জন বন্দিকে রাখা যায় না। এ ছাড়া, থানার নিজস্ব জেনারেটর নেই, পানীয় জলের সমস্যা তো আছেই। থানার ঘরের দরজা উচ্চতায় এতটাই কম যে, মাথা নিচু করে ঢুকতে হয়। শুধু তাই নয়, ঘরগুলি নিচু হওয়ার কারণে থানার কোনও ঘরে সিলিং ফ্যান লাগানো যায় না। পুলিশ কর্মীদের অভিযোগ, যেখানে রাতদিন এক করে কাজ করতে হয়, সেখানে যদি ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা না থাকে তা হলে কী ভাবে কাজ করা সম্ভব? তাঁদের আরও অভিযোগ, সারা দিন কাজ করার পরে আবাসনে ফিরেও পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায় না। জানলা, দরজা না থাকায় রোদ, বৃষ্টির জল ঢোকে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই।’’ ক্যানিং ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সওকত মোল্লা বলেন, ‘‘থানার নিজস্ব ভবন না থাকায় অনেক সমস্যা আছে বলে আমরা জানি। এ নিয়ে বারবার জেলাতে জানিয়েছি।’’

কেন এমন অবস্থা, নতুন ভবন তৈরি করতে কত টাকা অনুমোদন হয়েছে— এ সব ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলেও পুলিশ হাউজিং ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র এসএন দে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE