Advertisement
E-Paper

রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বালি-পাথর সরাল পুলিশ

রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ইট-বালি-পাথর যে অনেক সময়েই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে ওঠে, সে অভিযোগ ওঠে প্রায়শই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৩৩
অবশেষে: দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে পদক্ষেপ পুলিশের। বকুলতলায়। ছবি: সুমন সাহা

অবশেষে: দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে পদক্ষেপ পুলিশের। বকুলতলায়। ছবি: সুমন সাহা

রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ইট-বালি-পাথর যে অনেক সময়েই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে ওঠে, সে অভিযোগ ওঠে প্রায়শই। বিভিন্ন এলাকায় এই সমস্যা থাকলেও পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি কার্যত থাকে না বলেই মানুষের অভিযোগ। এ বার কোনও দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে নয়, স্রেফ নাগরিক-নিরাপত্তার কথা ভেবেই রাস্তার পাশে ডাঁই করে রাখা ইমারতি দ্রব্য সরিয়ে দিল বকুলতলা থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে কাজ।

বকুলতলা থানার বিভিন্ন এলাকার মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে চলছে এই পরিস্থিতি। কোথাও কোথাও রাস্তার অধিকাংশটাই দখল করে থাকে বালি-পাথরের স্তূপ। এর ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হয়, তেমনই দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। ময়দা, নিমপীঠ-সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় এই ছবি।

এ বার অবশ্য নড়ে বসেছে পুলিশ। বড় গাড়ি করে রাস্তা থেকে বালি-পাথর উঠিয়ে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ বারাসত থেকে জীবন মণ্ডলের হাট যাওয়ার রাস্তার একাধিক জায়গা থেকে এ দিন বালি-পাথর তোলা হয়েছে। নিমপীঠ ও সংলগ্ন এলাকা থেকেও তুলে ফেলা হয়েছে ইমারতি দ্রব্য। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে নিজেদের উদ্যোগেই ইমারতি দ্রব্য সরানো হয়েছে বলে জানান বকুলতলা থানার ওসি সুশোভন সরকার। যাঁরা এ ভাবে রাস্তা দখল করে ইমারতি দ্রব্য রেখেছিলেন, তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে এ ভাবে রাস্তায় বালি-পাথর পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছিল। সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছিল। দুর্ঘটনাও ঘটে। দুর্ঘটনা কমাতেই আমরা রাস্তা থেকে ইমারতি দ্রব্য সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিই। যাঁরা রেখেছিলেন, তাঁরা যাতে আর না রাখেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।’’

এ দিন পুলিশি তৎপরতার পরে অনেকে নিজে থেকেই রাস্তার উপরে রাখা ইমারতি দ্রব্য সরিয়ে নিয়েছে বলে জানান ওসি।

পুলিশ জানায়, অনেক জায়গায় রাস্তার কাজের জন্য বালি-পাথর মজুত করা ছিল। সেগুলিকে সুবিধাজনক জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের বালি-পাথরও রাস্তার উপরে রেখেছিলেন। সেগুলিকেও তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশি নজরদারি কমলে যদি আবার বালি-পাথর রাখা হয় রাস্তায়। সুশোভন বলেন, ‘‘সে দিকে আমাদের নজর রয়েছে। কেউ যাতে রাস্তা দখল করে ইমারতি দ্রব্য না রাখেন, এ ব্যাপারে এলাকায় মাইকে প্রচার করা হবে। তারপরেও রাখা হলে প্রশাসনের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

পুলিশের এই সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। ময়দার বাসিন্দা অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাস্তার ধারে বালি-পাথর পড়ে থাকাটা যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। এর জেরে খুবই অসুবিধা হয়। দুর্ঘটনা তো ঘটেই। পুলিশ-প্রশাসনকে ধন্যবাদ যে এ ভাবে এগিয়ে এসে রাস্তা পরিস্কার করে দিয়েছেন।’’

স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন, ‘‘জনবহুল এলাকাগুলিতে এই ভাবে বালি, পাথরকুচি পড়ে থাকলে মানুষের অসুবিধা হয়। আমি যাওয়া-আসার পথে যাঁরা রাখেন, তাঁদের ব্যক্তিগত ভাবে একাধিকবার অনুরোধ করেছি এগুলি সরিয়ে নিতে। কেউ শুনেছেন, কেউ শোনেননি।’’ পুলিশ যে এ ব্যপারে এগিয়ে এসে ভূমিকা নিয়েছে, তা প্রশংসনীয় বলে জানান তিনি।

Stone Sand Police Road Safety
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy