Advertisement
E-Paper

উত্তর শহরতলির পুকুরে এখনও প্রতিমার কাঠামো

কালীপুজোর বিসর্জন-পর্ব মিটেছে তিন দিন আগে। এখনও জঞ্জালে ভরা উত্তর শহরতলির বিভিন্ন পুকুর। সেগুলিই দূষণের উৎস। কোথাও স্নানের জন্য একটিই পুকুর। সেখানে শুক্রবারও ভাসছে প্রতিমার কাঠামো। সেই নোংরার মধ্যেই স্নান করছেন মানুষ।

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৫৭
এমনই হাল। শুক্রবার, মধ্যমগ্রামের আবদালপুর বড়পুকুরে।— সুদীপ ঘোষ

এমনই হাল। শুক্রবার, মধ্যমগ্রামের আবদালপুর বড়পুকুরে।— সুদীপ ঘোষ

কালীপুজোর বিসর্জন-পর্ব মিটেছে তিন দিন আগে। এখনও জঞ্জালে ভরা উত্তর শহরতলির বিভিন্ন পুকুর। সেগুলিই দূষণের উৎস।

কোথাও স্নানের জন্য একটিই পুকুর। সেখানে শুক্রবারও ভাসছে প্রতিমার কাঠামো। সেই নোংরার মধ্যেই স্নান করছেন মানুষ। দুর্গা, কালীপ্রতিমা নিরঞ্জনের পরে পুকুরের জলের এমনই হাল বিমানবন্দর, মধ্যমগ্রাম, বারাসতে।

স্থানীয় পুরসভা সূত্রে খবর, বেশিরভাগ পুকুর থেকে দুর্গার কাঠামো তোলা হলেও কালীর কাঠামো সরানো হয়নি। শীঘ্রই সেই সব পুকুর পরিষ্কার করা হবে। তবে পুকুরের পলি তোলা বা জল শোধনের ব্যাপারে এখনও কিছু জানাতে পারেনি পুরসভাগুলি।

মধ্যমগ্রাম পুরসভার এনএসজি হাবের বিপরীতে আবদালপুর বড়পুকুর। এ বার এখানে শ’খানেক দুর্গা ও কালীপ্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এ দিন দেখা গেল, ছট পুজোর জন্য পুকুরের এক পাশ সাফাই চললেও বাকি তিন দিক আবর্জনায় ভরা। স্থানীয় বাসিন্দা অমল বিশ্বাস বলেন, ‘‘বহু ঠাকুর এখানে বিসর্জন হয়েছে। অন্য বার তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হলেও এ বার এখনও হয়নি।’’

ওই পুরসভারই দেবীগড়ের ঝিলপাড়ে কম-বেশি ৫০টি ঠাকুর বিসর্জন হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পলি তোলা তো দূর, এখন কাঠামো তুলতেও দেরি হয়। এক গৃহবধূ বুলবুলি দে-র কথায়, ‘‘কাঠামো পচে জল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অন্য পুকুর না থাকায় আমাদের স্নানের খুব কষ্ট।’’

মধ্যমগ্রাম পুরসভায় এ বার প্রায় ৮০টি দুর্গা ও ৭০টি কালীপ্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। পুর চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘দুর্গাপ্রতিমা নিরঞ্জনের জায়গা ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কাঠামো পরিষ্কার হয়েছে। কালী প্রতিমার কাঠামো দু’এক দিনে সরানো হবে।’’

একই ছবি বারাসতেও। কিছু দিন আগে পুরসভার তরফে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে লেলেঙ্গা পুকুরটির সংস্কার শুরু হলেও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। স্থানীয়েরা জানান, ওই পুকুরে এ বার ৩০টির মতো কালী প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এক বাসিন্দা অভিরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুকুরটা বাঁধানো হলেও স্নান করা যায় না। পুরসভা সময়ে কাঠামো সরায় না।’’

বারাসতের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মধুমুরালি পুকুরের চিত্রও এক। স্থানীয়েরা জানান, আগে শ’দেড়েক প্রতিমা ভাসান হতো। প্রতিবাদের পরে তা দাঁড়িয়েছে পঞ্চাশে। স্থানীয় বাসিন্দা শোভন বৈদ্যের অভিযোগ, ‘‘জলে নামলেই চর্মরোগ হচ্ছে।’’ একই হাল পায়োনিয়ার পুকুরেরও।

বারাসত পুর-চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘দুর্গা ঠাকুর বিসর্জনের জন্য আমরা পুর-এলাকার ১১টি পুকুর নির্দিষ্ট করেছিলাম। সেখানে বিসর্জনের পরে পুকুর পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু কালীপ্রতিমা এলাকারই পুকুরে বিসর্জন হয়েছে। সেগুলিও দু’এক দিনের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে।’’

Pond Immersion procession
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy