অমাবস্যার ভরা কোটালে সাগরের সুমতিনগরে বাঁধে ফাটল দেখা গিয়েছে। ভেসেছে চাষের জমি, পুকুর। ধ্বসপাড়া ২ পঞ্চায়েত এলাকার ওই গ্রামে রবিবার রাত থেকে বাঁধের ফাটল দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনীতা মাইতি জানান, সুমতিনগরের মুসলিমপাড়া, পয়রাপাড়ায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে গিয়েছিল। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা বাঁধ মেরামতির কাজ করছেন। মুড়িগঙ্গাতেও বাঁধে সমস্যা দেখা গিয়েছে। সেখানেও মেরামতির চেষ্টা হচ্ছে। নামখানা ব্লকের মৌসুনি দ্বীপেও জল ঢুকেছে। সাগরে ঝড়বৃষ্টির প্রভাবে রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলে।
টানা বৃষ্টিতে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু নদী বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ক্যানিং মহকুমায় প্রায় ১ হাজারের বেশি মাটির বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বাসন্তীর কলহাজরা, সচেখালি, পার্বতীপুর, নফরগঞ্জ ১ নফরগঞ্জ ২, গদখালির বনহুগলিতলা, ত্রিদিবনগরের স্লুইস গেট এবং গোসাবার দয়াপুর, পাখিরালা, কুমিরমারি, পাঠানখালির কামারপাড়া, সোনাগাঁ, দুলকি- সহ বিভিন্ন এলাকার নদী বাঁধ নিয়ে আশঙ্কিত স্থানীয় মানুষ।
গোসাবার সেচ দফতরের এসডিও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী এবং বাসন্তীর সেচ দফতরের এসডিও শৈলেন্দ্র দলপতি বলেন, ‘‘কোথাও বাঁধ ভাঙার কোন খবর নেই। তবে কয়েকটি জায়গায় নদী বাঁধ বেশ দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। কিছু বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।’’ ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘কিছু বাড়ির আংশিক ক্ষতির খবর পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত বড় বিপর্যয়ের খবর নেই।’’ সব ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রিপল রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।