আকচা-আকচি: একই কাজের দুই উদ্বোধন অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার ছবি দু’টি তুলেছেন সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়!
মেরেকেটে দেড় কিলোমিটার একটা রাস্তা। আধ ঘণ্টার ব্যবধানে শাসক দলের দু’পক্ষ আলাদা আলাদা ভাবে ফিতে কেটে তার সংস্কার-কাজের উদ্বোধন করল।
এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসে পড়েছে দেগঙ্গায়। সমালোচনার উত্তরে দু’পক্ষই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাঁদের সাফাই, সময় মতো আসতে না পারায় এক সঙ্গে সূচনার কাজ করা সম্ভব হয়নি।
এ দিন রাজ্য জুড়ে ১২,০০০ কিলোমিটার রাস্তার পুনর্নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রকল্প ‘পথশ্রী’র সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দেগঙ্গা ২ পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর বাজার থেকে ঘোষালেরআবাদ পাঁড়ুইপাড়া পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।
বেলা ১টা নাগাদ ওই রাস্তার কাজের সুচনা করার কথা ছিল। দেগঙ্গার এই অঞ্চলটি হাড়োয়া বিধানসভার মধ্যে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নুরুল ইসলাম এবং দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল। বেলা ১টায় ঘোষিত সময়ে ফিতে কেটে সেই রাস্তার কাজের সুচনা করেন নুরুল এবং রহিমা।
সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পরে তাঁরা চলে গেলে সেখানে আসেন জেলার ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ। সঙ্গে ছিলেন দেগঙ্গার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিণ্টু সাহাজি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান এবং দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিক। একই মঞ্চে হাজির থেকে তাঁরা আরও একবার ফিতে কেটে ওই রাস্তার কাজের সূচনা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা করিম গাজি, শেখর মণ্ডল বলেন, ‘‘রাস্তাটি পিচ ও পাথরের করার দাবি আমাদের দীর্ঘ দিনের। তা আজ পূরণ হতে চলেছে। কিন্তু একই রাস্তার কাজের দু’বার সূচনা যে ভাবে ঘটা করে হল, কাজ আদৌ হলে হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy