অটো রুটের উদ্বোধনে রহিমা মণ্ডল।
কিছুক্ষণ আগেই সরকারি ঋণের টাকায় কেনা অটোয় নতুন রুটের উদ্বোধন করেছেন বিধায়ক। অনুষ্ঠান সেরে তিনি এলাকা ছাড়তে না ছাড়তেই সেই অটোতেই ভাঙচুর চালালেন ইঞ্জিন ভ্যান চালকেরা। হেনস্থা করা হয় অটো চালকদের। রাস্তায় অটো নামতে দেওয়া হবে না বলে দাবি তোলেন ইঞ্জিন ভ্যানের চালকেরা। প্রতিবাদে আবার রাস্তা অবরোধ করেন অটো চালকেরা।
রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার চন্দ্রকেতুগড় এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের ‘গতিধারা’ প্রকল্পে অটো পেয়েছেন কিছু যুবক। স্থানীয় চৌরাড়ি হাইস্কুলের সামনে থেকে হাড়োয়া স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার পথে নতুন অটো রুট চালু হয় এ দিন। দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল বেড়াচাঁপা মোড়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ফিতে কেটে অটো চলাচলের সূচনা করেন। অটো চলাচল শুরুও হয়।
কিন্তু তাঁদের ব্যবসায় টান পড়বে, এই আশঙ্কায় নতুন অটো রুট চালুর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ইঞ্জিন ভ্যান চালকেরা। তাঁরা আগে থেকেই জমায়েত হয়েছিলেন। হাড়োয়া রোডে চন্দ্রকেতুগড় এলাকায় রাস্তার উপরে ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। অটো সেখানে এলে ইঞ্জিন ভ্যান চালকেরা অটো থেকে চালকদের বের করে ধাক্কাধাক্কি দিতে থাকে। জামা-কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। কোদালের বাঁট দিয়ে তিনটি অটোতে ভাঙচুর করা হয়।
সেই অটো ঘিরেই শুরু গোলমাল। ছবি তুলেছেন সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।
প্রতিবাদে অটো চালকেরা তেঁতুলতলা মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ গিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। বিধায়ক বলেন, ‘‘বেকার যুবকদের জন্য অটো চালু করা হয়েছে। যাঁরা ভাঙচুর করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তায় প্রায় ৮০টি ইঞ্জিন ভ্যান চলে (স্থানীয় ভাষায় যার নাম ভ্যানো)। ভ্যানো চালকদের দাবি, অটো চললে তাঁদের রুজি-রুটি বন্ধ হয়ে যাবে। জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ সংস্থার সরকারি প্রতিনিধি গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘বেআইনি ইঞ্জিন ভ্যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। ভ্যানো চালকেরা যদি অটোর জন্য আবেদন করেন, তা হলে তাঁদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy