রাজেশ ঘোষ
ঘোলার ঊষুমপুরে বন্ধুর বাড়িতে বর্ষবরণের আসরে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। রাজেশ ঘোষ (৩৮) নামে ওই যুবকের মৃত্যুতে তাঁর স্ত্রী পিয়ালী, রাজেশের বন্ধু শান্তনু রায়চৌধুরী ওরফে তোতনের বিরুদ্ধে সোমবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দ্বিতীয় দিন নতুন তথ্য এল পুলিশের হাতে। এ দিন কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজেশ এবং তোতনের পরিবারের লোকজনকে। উভয় পক্ষকে জেরা করে এবং রাজেশ ও তোতনের অন্য বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে জেনেছেন, দু’জনেরই বিবাহ-বহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে অশান্তি ছিল দুই পরিবারেই। এর মধ্যে কোনও এক জন মহিলাকে নিয়ে তোতন ও রাজেশের মধ্যে বছর তিনেকের পুরনো বিবাদ ছিল। তার জেরে দু’জনের বন্ধুত্বে ভাটা পড়ে। তবে তার পরেও রাজেশ ও তোতনকে একাধিক বার মদ্যপানের আসরে বসতে দেখা গিয়েছে বলে জেনেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে আরও জানা গিয়েছে, তোতনের স্ত্রী শম্পার সঙ্গেও রাজেশের সম্পর্ক ছিল।
তবে ওই দু’জনের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের কিছু তথ্য মিললেও ঘটনার রাতে কে আগ্নেয়াস্ত্র এনেছিল, গুলিই বা কে চালিয়েছিল— তা এখনও জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। তোতনের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ভয়ে বাড়িছাড়া হয়েছেন তিনি। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (২) ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, ‘‘কে, কী ভাবে রাজেশকে মারল তা এখনও অস্পষ্ট। তবে এই ঘটনার পিছনে একাধিক সম্পর্কের টানাপড়েন থাকতে পারে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, যে মহিলার সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এখনই তাঁর নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। রাজেশের ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্রর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
এ দিনও রামবলি মাঠের কাছে তোতনের বাড়ি ঘিরে গুঞ্জন ছিল প্রতিবেশীদের। স্থানীয় বাসিন্দা অসীম সরকার বলেন, ‘‘নিজের বাড়িতে ডেকে এনে এ ভাবে কাউকে মারা হল কেন, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy