এখানেই হবে উত্পাদন।—নিজস্ব চিত্র।
শিল্পহীন বনগাঁয় এ বার তৈরি হল শিল্প কারখানা।
বনগাঁ শহর-সংলগ্ন কালুপুরে যশোহর রোডের পাশে পাঁচ বিঘে জমির উপরে তৈরি হয়েছে আধুনিক একটি রাইস মিল। রবিবার মিলটির উদ্বোধন করেন বনগাঁর সাংসদ মমতা ঠাকুর। মিলটি তৈরি করেছেন মন্টু সাহা নামে এক ব্যবসায়ী। মিলের নাম ‘রাধাকৃষ্ণ রাইস মিল’। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। আরও দশ বিঘে জমি রয়েছে মালপত্র রাখার জন্য। এখানে দৈনিক ২০০ টন ধান থেকে চাল তৈরি করা হবে। মিলটি চালু হওয়ায় এলাকায় নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। মন্টুবাবু জানান, প্রায় দুশো জন ওই মিলটিতে কাজের সুযোগ পেয়েছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে (প্রতি কুইন্ট্যাল ধান ১৩৬০ টাকা দরে) চাষিদের কাছ থেকে কেনা হবে। ওই ধান থেকে চাল তৈরি করা হবে। রাজ্য সরকার ওই চাল রেশনের মাধ্যমে বিতরণ করবে। চাষিরা নিজেরাও মিলে এসে ধান বিক্রি করে যেতেন পারবেন। মন্টুবাবু জানান, চাষিদের প্রথমে টাকা দিয়ে দেবেন তাঁরা। পরে রাজ্য সরকার চাল নেওয়ার সময়ে তাঁদের ধানের দাম ও কমিশন দেবে।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মন্টুবাবুকে আমরা মিলটি করতে উত্সাহ দিয়েছিলাম। আমরাই মিলটি থেকে চাল কিনে নেব। ওরা বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবে।” এর ফলে বনগাঁ মহকুমায় চাষিদের ধান বিক্রির সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “মন্টুবাবু আমাদের কাছে ভর্তুকির জন্য আবেদন করলে তা দেওয়া হবে। ভর্তুকি হিসাবে মিল কর্তৃপক্ষ ৭৫ লক্ষ টাকা পেতে পারেন।”
বনগাঁ মহকুমায় এত বড় ও আধুনিক রাইস মিল আগে ছিল না। চিরুনি ছাড়া বনগাঁয় তেমন শিল্প কারখানা নেই। বনগাঁ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সম্পাদক বিনয় সিংহ বলেন, “এখানে সেলুলয়েড ছাড়া কোনও শিল্প নেই। তা-ও এখন মৃতপ্রায়। এই ধরনের কারখানা যত হবে, বনগাঁর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ততই পাল্টে যাবে। বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy