দুই নৈশ প্রহরীর বুকে রিভলভার ঠেকিয়ে, মুখে কাপড় বেঁধে পরপর সোনার দোকান লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। লুঠ হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না। বুধবার রাতে, দেগঙ্গার গোঁসাইপুর বাজারের ঘটনা। এই নিয়ে দেগঙ্গায় মাসখানেকের মধ্যে পরপর ৪টি জায়গায় ৬টি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসা বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঁসাইপুর এলাকায় বাজার কমিটির তরফে নিয়মিত রাত পাহারা থাকে। বুধবার পাহারায় ছিলেন এরশাদ মোল্লা ও হাসেম মোল্লা। এরশাদ বলেন, ‘‘রাত ১টা নাগাদ ৭-৮ জন আমাদের ঘিরে ধরে। ওদের মুখ কালো কাপড়ে বাঁধা, হাতে বন্দুক ছিল। এক জন আমার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে দেবে বলে শাসায়।’’ হাসেম বলেন, ‘‘আমাদের হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে দেয়।’’ এর পরেই দুষ্কৃতীরা পরপর দু’টি দোকানের শাটার ও গেট কেটে জিনিসপত্র লুঠ করে। দুষ্কৃতীরা চম্পট দিলে ওই দুই প্রহরী কোনও মতে নিজেদের বাঁধন খুলে বাজার মালিকের কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানান। বৃহস্পতিবার সকালে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। এলাকায় পরপর ডাকাতিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। অখিল ভারতীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির দেগঙ্গার সম্পাদক শম্ভুনাথ কর্মকার বলেন, ‘‘আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। বেছে বেছে সোনার দোকানে ডাকাতি হচ্ছে। ভয়ে ব্যবসা থেকে সরে আসতে চাইছেন সকলে।’’ বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির দেগঙ্গার সম্পাদক সুবোধ রায় বলেন, ‘‘বারবার চুরির ঘটনায় আর্থিক ভাবে পঙ্গু হয়ে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ এখনও একটাও ডাকাতির কিনারা করতে পারেনি।’’ ওই এলাকায় কোনও সিসিটিভি নেই বলেও অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy