প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ উঠেছে পাথরপ্রতিমা ব্লকে। যদিও ব্লক প্রশাসন দাবি করেছে, তালিকায় কোনও গোলমাল নেই।
বিরোধীদের অভিযোগ, পাথরপ্রতিমার দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েকজন গরিব মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাসের টাকা পাননি। কিন্তু তৃণমূল নেতারা তাঁদের থেকে স্ট্যাম্প সাঁটা কাগজে ‘‘দুই কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছি’’ বলে লিখিয়ে নিয়েছেন। বিজেপির পাথরপ্রতিমা মণ্ডল সভাপতি সুনির্মল দাসের অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর বিলির কাজ শুরু হয়নি। তার আগেই স্ট্যাম্প সাঁটা কাগজে শাসক দলের নেতারা কয়েকজন উপভোক্তার থেকে টাকা পেয়ে গিয়েছেন বলে লিখিয়ে নিয়েছেন। অনেকেই না বুঝে সেই কাগজে সই করে দিয়েছেন।’’
পাথরপ্রতিমার বিডিও কিশোরকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা এ রকম অভিযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা এ বার ব্যাঙ্কের চেকে দেওয়া হচ্ছে না। এ বার ওই টাকা উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।’’
শুধু ‘‘টাকা পেয়ে গিয়েছি’’ বলে লিখিয়ে নেওয়াই নয়, উপভোক্তার তালিকা থেকে অনেক প্রকৃত গরিব মানুষের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে প্রায় ৫৪ হাজার উপভোক্তার তালিকা নিয়ে ১৩টি বিষয়ের উপর সমীক্ষা শুরু হয়েছিল। তার পর বিভিন্ন কারণে প্রায় ৯ হাজার উপভোক্তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, পঞ্চায়েতগুলিতে সাধারণ সভা করে সেই তালিকা পাশ করানো হয়েছে।
সেই সমীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পাথরপ্রতিমা ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি বীরেশ মণ্ডলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের উপরে ঠিক মতো সমীক্ষা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ব্লক অফিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জেলাশাসকের নেতৃত্বে ফের কমিটি তৈরি করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঘর বিলির দাবি করেছেন তিনি। কংগ্রেসের দাবি, ব্লকের সব ক’টি পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা হয়নি। কয়েকটি জায়গায় সাধারণ সভা হলেও উপভোক্তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
ভুল বুঝিয়ে স্ট্যাম্প পেপারে লিখিয়ে নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করলেও বিরোধীদের তোলা সব কটি অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা। তাঁর দাবি, ‘‘এতগুলি লোক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে একটু ভুল হতেই পারে। বিরোধীদের বিরুদ্ধেও কিছু অভিযোগ এসেছে। তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনও পঞ্চায়েত পক্ষপাতমূলক আচরণ করেনি। তবে সমস্যা মিটে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy