Advertisement
E-Paper

একহাঁটু কাদা ভেঙে স্কুলে যায় পড়ুয়ারা

ক্যানিংয়ের ইটখোলা পঞ্চায়েতের বৈকুণ্ঠপুর এলাকার রাস্তার চেহারা এমনই। বাম শাসনকালেই হোক কিংবা তৃণমূল জমানায়— রাস্তার হাল ফেরেনি। 

প্রসেনজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৪৬
কাদা-পায়ে: স্কুলের পথে। ক্যানিংয়ে। নিজস্ব চিত্র

কাদা-পায়ে: স্কুলের পথে। ক্যানিংয়ে। নিজস্ব চিত্র

মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা। কিন্তু কাদায় হাঁটু ডুবে যায় সেই পথে। এ ভাবেই স্কুলে আসে ছেলেমেয়েরা। যাতায়াত করেন অসংখ্য মানুষজন।

ক্যানিংয়ের ইটখোলা পঞ্চায়েতের বৈকুণ্ঠপুর এলাকার রাস্তার চেহারা এমনই। বাম শাসনকালেই হোক কিংবা তৃণমূল জমানায়— রাস্তার হাল ফেরেনি।

স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, প্রতিবার ভোট এলেই এই রাস্তা মাপজোক হয়। গ্রামের মানুষকে আশ্বাস দেওয়া, রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে। কিন্তু ভোট মিটে গেলেই নেতারা কেউ আর আসেন না গ্রামে। ইতিমধ্যেই অন্তত পাঁচবার এই রাস্তা তৈরি হবে বলে ঘটা করে ফুল-মিষ্টি বিলিয়ে উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এ বারের বর্ষাতেও একহাঁটু জল-কাদা ভেঙে যাতায়াত করছেন মানুষজন।

এই রাস্তা ধরে দক্ষিণ রেদোখালু, খোলাখালি, গড়খালি, ইটখোলা, নলিয়াখালি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। ভোদো মাইতিপাড়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, মুচিরচক শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, নেতাজি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, দক্ষিণ রেদোখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নলিয়াখালি হরিনারায়ণী বিদ্যাপীঠ, ইটখোলা রাজনারায়ণ হাইস্কুল ছাড়াও বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে এই এলাকায়। সেই সমস্ত স্কুলে যেতে হলেও এই রাস্তাই অন্যতম ভরসা।

স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ সর্দার, প্রবোধ গায়েনরা বলেন, “বার বার এই রাস্তা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। জানি না, কবে আমাদের এই দুর্দশা ঘুচবে!”

কাদা রাস্তা ধরে স্কুলে যেতে গিয়ে অনেকে পড়ে যায়। স্কুলের ইউনিফর্ম ভিজে যায়। ইটখোলা রাজনারায়ণ হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তৃষা গায়েন বলে, ‘‘বর্ষাকাল এলেই এই কাদা রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যেতে আমাদের খুব অসুবিধা হয়। অনেক সময়ে রাস্তায় পড়ে গিয়ে জামা-কাপড় খারাপ হয়। স্কুলে গিয়ে বকাও খেতে হয় তখন।”

স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘‘রাস্তাটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখব। যাতে দ্রুত এই রাস্তা ইটের বা কংক্রিটের করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে।” ইটখোলা পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান তথা প্রাক্তন প্রধান খতিব সর্দার বলেন, “ইতিমধ্যেই এই রাস্তার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুত রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হবে।”

কিন্তু এই সব কথায় আর ভরসা রাখতে পারছেন না এলাকার মানুষ। এক বাসিন্দা আবার প্রশ্ন, ‘‘ধরে নিচ্ছি রাস্তা হবে। তা হলে বর্ষার আগে কেন কাজ শুরু হল না?’’

Canning
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy