স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ পেতেও সমস্যা হচ্ছে নোট-কাণ্ডের জেরে।
এই গোষ্ঠীর সদস্যরা অনেকেই ঋণ নিয়ে হাঁস, মুরগি, ছাগল পালন করেন। চাষবাসও করেন। এমনকী মাছের চাষও হয়। এই সমস্ত কাজগুলি এখন থমকে গিয়েছে। টাকার অভাবে বেশি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাচ্ছে না। ফলে সদস্যদের ঋণও মিলছে না।
বনগাঁ মহকুমার পুরাতন হেলেঞ্চার বাসিন্দা কাঞ্চন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে ঋণ নিয়ে তিনি একটি গরু কিনেছিলেন। এখন গরুর সংখ্যা চার। খুচরো টাকার অভাবে তাদের খাওয়ার জোগাড় করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে।
গোষ্ঠী থেকে ঋণ নিয়ে অনেকে আবার চাষও করেন। সে কাজও এখন বন্ধ। গাইঘাটার পুরন্দপুর এলাকার এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যের সংখ্যা ১৪। ওই গোষ্ঠীর সদস্য তন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘‘এই সময়ে রাম মণ্ডল নামে এক সদস্য ঋণ চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা টাকার অভাবে তা দিতে পারিনি।’’ বেড়ি এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদক মিহির রায় বলেন, ‘‘গরু, ছাগল পালন ও চাষের জন্য গোষ্ঠীর সদস্যেরা ঋণ চেয়েছেন কিন্তু নোট বাতিলের জন্য খুচরো না থাকায় আমরা তাঁদের ঋণ দিতে পারিনি।’’ নোট বাতিলের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির উপর বড় প্রভাব পড়েছে বলে মনে করে এলাকার মানুষ।
এ দিকে বাগদার মিড ডে মিল চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। গোষ্ঠীর সদস্যেরা জানান, দৈনিক জ্বালানির জন্য ৮-১০ কেজি কাঠ লাগে। ৪০ কেজি কাঠের দাম ১৮০ টাকা। চাল, সব্জি, ডিম তরকারি তো আছেই।
সুনীতি মণ্ডল নামে এক সদস্য বলেন, ‘‘প্রশাসন থেকে ব্যাঙ্ক আকাউন্টে কয়েক মাস অন্তর টাকা পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু সেখান থেকে বেশি টাকা তোলা যাচ্ছে না। সে কারণেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’’ এ ভাবে মিড ডে মিল চালানো সম্ভব হচ্ছে না। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেদের থেকে টাকা দিয়েও জিনিস কিনে আনছেন। আবার অনেক সময় ধার বাকিতেও সব্জি, মশলা আনতে হচ্ছে।