E-Paper

স্টেট হাসপাতালের মর্যাদা পেতে চলেছে সোনারপুর গ্রামীণ

বর্তমানে সুভাষগ্রাম হাসপাতাল এক জন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অধীনে রয়েছে। ৩০ শয্যাবিশিষ্ট ওই হাসপাতালে সাধারণ রোগ ও স্ত্রীরোগের চিকিৎসা হয়।

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ০৭:৩৩
hospital

—প্রতীকী ছবি।

বছরখানেক পরেই সরকারি স্টেট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা পেতে চলেছেন সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা। এমনই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি সোনারপুর গ্রামীণ (সুভাষগ্রাম) হাসপাতালের পরিকাঠামো স্টেট জেনারেল হাসপাতালের স্তরে উন্নীত করার অনুমোদন মিলেছে। এ জন্য আর্থিক বরাদ্দও করা হয়েছে।

বর্তমানে সুভাষগ্রাম হাসপাতাল এক জন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অধীনে রয়েছে। ৩০ শয্যাবিশিষ্ট ওই হাসপাতালে সাধারণ রোগ ও স্ত্রীরোগের চিকিৎসা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের যেতে হয় বারুইপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। নয়তো এম আর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা। কিন্তু, সেখানে যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনও পরিকাঠামো ছিল না।

ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুপকান্তি মিশ্র বলেন, ‘‘১২৫ শয্যাবিশিষ্ট স্টেট জেনারেল হাসপাতালের অনুমোদন এসেছে। পূর্ত দফতর বর্তমান গ্রামীণ হাসপাতাল সংলগ্ন জমির জরিপ করেছে। শীঘ্রই স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে। সব রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা থাকবেন। অপারেশন থিয়েটার-সহ সমস্ত আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে।’’ সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক অরুন্ধতী (লাভলি) মৈত্র বলেন, ‘‘গ্রামীণ হাসপাতালটিকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করতে কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করা হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও আর্জি জানানো হয়। তার পরেই হাসপাতালের অনুমোদন ও আর্থিক বরাদ্দ করেন তিনি।’’

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল সংস্কারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন রাস্তা জবরদখল করে দোকান তৈরি করা শুরু হয়েছে। অভিযোগ, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ওই গ্রামীণ হাসপাতালটিকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পরিণত করা হবে বলে ঘোষণা হওয়ার পরেই শাসকদলের কয়েক জন স্থানীয় নেতা রাস্তা ও নর্দমার উপরে দোকান তৈরি করতে জমি দখল শুরু করেছেন। জবরদখল করা জমি বিক্রিও হচ্ছে! বিধায়ক বলেন, ‘‘জমি জবরদখলের অভিযোগ খতিয়ে দেখে বিষয়টি পুরসভার নজরে আনারও ব্যবস্থা হচ্ছে।’’

হাসপাতাল সংস্কার এবং আশপাশের রাস্তা ও নর্দমা জবরদখল নিয়ে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে ওই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করতে আবেদন করা হয়। বিধায়ক বিষয়টি নিয়ে লেগে থেকে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন করিয়ে এনেছেন। তবে হাসপাতালের আশপাশে জমি জবরদখলের বিষয়ে কোনও অভিযোগ পুরসভায় আসেনি। বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Hospital Sonarpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy