প্রতীকী ছবি।
করোনার তৃতীয় ঢেউ যাতে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ সে জন্য টিকাকরণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সব্জি বিক্রেতা, টোটোচালকের মতো পেশার সঙ্গে যুক্তরা প্রতিদিন প্রচুর মানুষের সংস্পর্শে আসেন। ‘সুপারস্প্রেডার’ অ্যাখ্যা দিয়ে এই সব পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এবং তাঁদের পরিবারের লোকেদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বাজার সমিতি এবং টোটো ইউনিয়নকে সব্জি বিক্রেতা এবং টোটোচালকদের নামের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা।
এ ব্যাপারে জেলাশাসক বলেছেন, ‘‘কোভিডের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য যত বেশি সম্ভব টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রত্যেকটি ব্লকে এবং পুরসভায় রোজই টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রথম টিকা নিয়েছেন ৩৪ লক্ষের বেশি মানুষ। দ্বিতীয় টিকা নিয়েছেন ১১ লক্ষেরও বেশি মানুষ।’’ তৃতীয় ঢেউয়ে যেহেতু বাচ্চাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, তাই ১২ বছরের ছোট বাচ্চাদের মায়েদের নামের তালিকা তৈরি করে তাঁদেরকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হৃদয়পুর স্টেশন সংলগ্ন টোটো ইউনিয়নের ৮৮ শতাংশ টোটোচালককে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টোটোচালক ইউনিয়নের সম্পাদক সুশান্ত সাহা। হাবরা পুরসভার মুখ্য পুর প্রশাসক জানিয়েছেন, তাঁর পুর এলাকায় ১.২৫ লক্ষের মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
একই রকমভাবে মধ্যমগ্রামে ১.৯ লক্ষের মধ্যে মাত্র ৪৫ হাজার জন টিকা পেয়েছেন। দমদমে ১ লক্ষের মধ্যে টিকা পেয়েছেন ৬৭ হাজার। বারাসতের ৩ লক্ষ বাসিন্দাকে টিকা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে টিকা পেয়েছেন ১.২৫ লক্ষ। যাঁরা এখনও টিকা পাননি তাঁদের দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy