সুন্দরবনের জঙ্গলে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। গত শুক্রবার গভীর রাতে ক্ষীরোদখালি এলাকা থেকে মাছ ধরার ট্রলার ও জাল-সহ তাঁদের আটক করেন জওয়ানেরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে অবৈধ ভাবে মাছ ধরছিলেন তাঁরা।
সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে টহলরত সেনারা তাঁদের সন্দেহজনক অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। দু’দিনব্যাপী কঠোর জেরা শেষে রবিবার দুপুরে তাঁদেরকে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার তাঁদের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হবে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। এতে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অবৈধ ভাবে মাছ ধরার কারণে শুধু স্থানীয় ব্যবসায় ক্ষতি নয়, বন দফতরের অনুমতি ছাড়া এমন কাজ পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি করছে। প্রশাসনের তরফে আশ্বাস, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সীমান্ত নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।
এ ঘটনায় সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর নতুন করে প্রশ্ন উঠলেও স্থানীয় মানুষ আশাবাদী, কড়া পদক্ষেপে এ ধরনের অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে। সুন্দরবনের মতো সংবেদনশীল এলাকায় এই ধরনের অবৈধ প্রবেশ রুখতে প্রশাসন আরও সজাগ থাকবে বলেই তাঁদের বিশ্বাস।