Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Basirhat

ছাদ থেকে খসে পড়ছে চাঙড়, গাছতলায় ক্লাস করছে পড়ুয়ারা

ক্লাসঘর,  শিক্ষকদের বসার ঘরে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। দোলের দিন ছাদ থেকে বড় চাঙড় ভেঙে শিক্ষকদের টেবিল-চেয়ারের উপরে পড়ে।

অব্যবস্থা: খোলা আকাশের নীচে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র

অব্যবস্থা: খোলা আকাশের নীচে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র

নির্মল বসু 
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ০৯:০৮
Share: Save:

গোটা স্কুল ভবন ভাঙাচোরা। ক্লাসঘরগুলির অবস্থা করুণ। ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে, খসে পড়ছে দেওয়ালের প্লাস্টার। ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ঝুঁকি এড়াতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্কুলের মাঠে বা গাছতলায় ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকেরা। সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জের আমবেড়িয়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের এমনই হাল। গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। তাঁদের অনেকে সন্তানকে অন্য স্কুলে ভর্তি করার কথাও ভাবছেন।

স্কুল সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে একতলা ভবনের সংস্কার হয়নি। ক্লাসঘর, শিক্ষকদের বসার ঘরে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। দোলের দিন ছাদ থেকে বড় চাঙড় ভেঙে শিক্ষকদের টেবিল-চেয়ারের উপরে পড়ে। স্কুল ছুটি থাকায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষা দফতর ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জের সান্ডেলেরবিল পঞ্চায়েতের আমবেড়িয়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলটি ১৯৪২ সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি চালু হয়। বর্তমানে ওই স্কুলে ৩ জন শিক্ষক ৭২ জন পড়ুয়া আছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বোমশঙ্কর গায়েন বলেন, ‘‘সংস্কারের অভাবে স্কুল ভবনটি ভগ্নপ্রায়। বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত মেরামতি কাজ শুরু করা দরকার।’’

স্কুলের শিক্ষক দেবদাস দাস ও তাপস মণ্ডল জানান, ছাদ থেকে যখন তখন চাঙড় খসে পড়ে পড়ুয়ারা আহত হতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে ঘর বন্ধ রেখে খোলা আকাশের নীচে ক্লাস করানো হচ্ছে। অফ পিরিয়ডে শিক্ষকেরাও বাইরে বসছেন।

সম্প্রতি হিঙ্গলগঞ্জ চক্রের এসআই মহম্মদ গিয়াসুদ্দিন ও এআই ললিত মহাজন স্কুল পরিদর্শনে যান। গিয়াসুদ্দিন বলেন, ‘‘স্কুলটির অবস্থা উদ্বেগজনক। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’ স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডলের কথায়, ‘‘আগে এক বার স্কুলঘর মেরামতির জন্য ৮ লক্ষ টাকা অনুদান হিসাবে বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তা নিতে রাজি হননি। বর্তমানে স্কুল ভবনটি দ্রুত সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ অনুদানের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘টাকা অনুমোদন হয়েছে বলে শুনেছিলাম। কিন্তু আমরা কোনও টাকা হাতে পাইনি।’’ এক পড়ুয়ার অভিভাবক পুষ্প মণ্ডল বলেন, ‘‘বাচ্চারা মাঠেঘাটে রোদের মধ্যে পড়াশোনা করছে। এমন চলতে থাকলে তো ওরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই রোজ স্কুলে পাঠানো নিয়েই সংশয়ে আছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Basirhat Primary School
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE