নিহত কানন রায়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
গাইঘাটার মানিকহীরায় বিজেপি কর্মী জয়ন্ত রায়ের মাকে খুনে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি নিরুপম রায়ের মদতের অভিযোগ তুলেছিল ওই পরিবার। এ বার নিরুপমকে গ্রেফতারের দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
সোমবার বিকেলে জয়ন্তদের বাড়িতে যান সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল এবং গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। ওই পরিবারের হাতে ফল ও আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তাঁরা। পরিবারের লোকজন সুকান্তের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
সুকান্ত বলেন, “তিনি (নিরুপম) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ। তাঁর উস্কানিতে তৃণমূলের হার্মাদরা বিজেপি কর্মীর মাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরেছে। যাঁর ষড়যন্ত্রে এই খুন, সেই নিরুপম অন্য রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে গ্রেফতার করার কোনও সদিচ্ছা নেই পুলিশের। নিরুপমের বিরুদ্ধে খুন এবং খুনের ষড়যন্ত্র করার মামলা রুজু করে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমরা আদালতে যাব সিবিআই তদন্তের জন্য।” পরে এখানে পথসভাতেও নিরুপম গ্রেফতার না হলে থানা অবরোধের ডাক দেন সুকান্ত।
দিন কয়েক আগে রাত ১১টা নাগাদ বাড়ির সামনে জয়ন্তর বৃদ্ধা মা কাননকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। কাননের বৌমা পাখি সঙ্গে ছিলেন। তিনি জানান, সমীর মল্লিক নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী প্রথমে তাঁকে মারধর করে। তাঁকে বাঁচাতে এলে মারা হয় কাননকে।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সমীর, তার বাবা সুনীল এবং মা লক্ষ্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এখন জেল হেফাজতে আছে। পুলিশের এক কর্তার কথায়, “খুনের ঘটনায় কাননের বৌমা যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে যদি আরও কারও ভূমিকা সামনে আসে, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।”
কাননের পরিবারের সদস্যদের দাবি, সমীরকে এই খুনে মদত নিয়েছেন নিরুপমই। ওই খুনের পরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা নিরুপমের বাড়িতে হামলা চালায় এবং তাঁর বাবাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন পুলিশ নিরুপমদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
তারপর থেকে তাঁরা এখনও
বাড়িছাড়া। এলাকায় পুলিশ পিকেট আছে।
নিরুপম এ দিন বলেন, “বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবার চিকিৎসক বাবাকে ছুটি দিয়েছেন। মঙ্গলবার বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরব।” তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। মৃত্যু নিয়ে বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy