অনুষ্ঠানে শশী পাঁজা। নিজস্ব চিত্র।
জেলার কিছু হোমে অনৈতিক কাজ চলছে। পুরো বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রবিবার দুপুরে ফলতা ব্লকের বেলসিং-২ পঞ্চায়েত এলাকায় নিমতলা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র শিশু আলয়ের উদ্বোধনে এসে এই কথা বললেন রাজ্যের নারী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।
এ দিন দুপুরে ওই অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওল্ড এজ হোমগুলির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারাই তহবিল পাঠায়। ফলে অনেক বিষয়ে আমাদের অজানা রয়েছে।’’ ফলতার দোস্তপুরের একটি হোমের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটি থেকে ২০টি শিশুকে ওই হোমে পাঠানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ব্লক, গ্রাম ও পুরসভা স্তরে চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তৃণমূল স্তরে সেই কমিটিগুলিই শিশু সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে ২৭ নভেম্বর প্রথম শিশু আলয় দিবস দিবস পালন করা হয়েছিল। এ বছর ফলতার ওই মঞ্চ থেকে সারা রাজ্যে ১০০০টি নতুন শিশু আলয়ের উদ্বোধন করা হয়। ২০১৫ সালে প্রথম বিভিন্ন জেলায় ১০০০টি প্রথম শিশু আলয় চালু করা হয়েছিল। প্রত্যেকটি শিশু আলয়ে প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছেন। শিশুদের মনোরঞ্জনের নানা উপকরণ রয়েছে সেখানে। রয়েছে শিশুদের পুষ্টিবর্ধক খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন পরিবেশ ও দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জাভেদ খান, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।
রবিবার ক্যানিং মহকুমার গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং ১ এবং ২ ব্লকে ৩৭টি শিশুআলয়ের উদ্বোধন উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্যে বাসন্তী ব্লকে ২৫ টি শিশু আলয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। ক্যানিং মহকুমার এক কর্তা জানান, শিশুদের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষায় আকর্ষণীয় করে তুলতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে নতুন ভাবে সাজিয়ে ‘শিশু আলয়’ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy