Advertisement
E-Paper

বিয়ের চারদিন পরই মৃত্যু নাবালিকার

ন্যাজাটের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম ঊর্মি দাস (১৬)। সে স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। বুধবার সকালে তার স্বামী রবিন সর্দারকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই যুবকের বাবা পরাণ ও মা নিরুবালা সর্দার পলাতক। খোঁজ চলছে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৩৬
ঊর্মি দাস

ঊর্মি দাস

বিয়ের চারদিন পরে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হল শ্বশুরবাড়ির থেকে। সোমবার রাতে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার কিশোরীর বাবা খুনের অভিযোগ করেন। এরপরেই গ্রেফতার হয় ওই নাবালিকার স্বামী।

ন্যাজাটের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম ঊর্মি দাস (১৬)। সে স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। বুধবার সকালে তার স্বামী রবিন সর্দারকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই যুবকের বাবা পরাণ ও মা নিরুবালা সর্দার পলাতক। খোঁজ চলছে।

সন্দেশখালির ঝুপখালি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য নির্মল সর্দারের কথায়, ‘‘এটা খুন কিনা খতিয়ে দেখুক পুলিশ।’’ পরিকল্পিত খুনকে চাপা দিতে জ্বরের গল্প সাজানো হচ্ছে বলে তাঁর দাবি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির ঝুপখালি গ্রামের বাসিন্দা ঊর্মি। বাবা-মা ও চার বোনের সঙ্গে থাকত। ওই কিশোরীর বাবা অনিল সর্দার জানান, দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ঊর্মি তৃতীয়। সে দুই বোন, ঠাকুমার কাছে থাকত। অনিল ও তাঁর স্ত্রী বাসন্তীতে থাকতেন কাজের সূত্রে। অভিযোগ, শুক্রবার গ্রামে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল রবিনকে। সেই রাতেই নিখোঁজ হয় ঊর্মি। খবর পেয়ে শনিবার সকালে তার বাবা-মা বাড়ি আসেন। ঊর্মির এক বোনের বিয়ে হয়েছে ন্যাজাটে। তাঁর কাছ থেকেই জানা যায় সে ন্যাজাটে পাঁচনম্বর খড়িহাট গ্রামে রবিনের বাড়িতে রয়েছে।পুলিশ জানায়, রবিনের বাড়ি গিয়ে অনিল দেখেন, মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে সেখানেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে অনিলের বচসা বাধে। অনিল বলেন, ‘‘সোমবার মেয়েকে আমার কাছে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু সোমবারই মেয়ে মারা যায়। মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করেছিল রবিন।’’

অনিল পুলিশকে জানিয়েছে, নাবালিকা বিয়ের কথা পুলিশকে জানানোর কথা বলেছিলেন অনিল। কিন্তু তখন তাঁকে রবিনের বাবা পরাণ হুমকি দেয়। অনিলের অভিযোগ, ঊর্মির মুখে মারের দাগ ছিল। মারধর করেই ওরা মেয়েকে খুন করেছে।

রবিন অবশ্য এই খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার দাবি, জ্বর, সর্দি-কাশি হয়েছিল ঊর্মির। হাসপাতালের পথে জ্বর অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়। ঊর্মিকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত ঊর্মির মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে না।

Death Arrest Teenage Girl Marriage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy