প্রতীকী ছবি।
তিরিশ হাজার টাকা ধার দিয়ে ফেরত চেয়েছিল প্রেমিকা। সেই রাগেই প্রেমিকের হাতে তাঁকে খুন হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ।
গত সপ্তাহে বকখালির একটি হোটেল থেকে দুর্গামণি বারুই নামে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সমর পাত্রকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করার পরে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়েই এই খুন। গত সপ্তাহে বকখালির একটি হোটেল থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। পালিয়েছিল পাতিবুনিয়ার যুবক সমর। মঙ্গলবার রাতে সে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। বুধবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হলে ৫ দিন পুলিশি হেফাজতের রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগরের বিবাহিত দুর্গামণির সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক ছিল। জড়িয়ে পড়েছিল চার বছরের সন্তানের বাবা সমরও। পুলিশের কাছে সে দাবি করেছে, দুর্গামণির কাছে ৩০ টাকা ধার নিয়েছিল। কয়েক দিন ধরেই টাকা ফেরত চেয়ে ফোন করছিলেন ওই তরুণী।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন দুর্গামণিই সমরকে দেখা করতে বলেছিলেন। সাত মাইলের কাছে দেখা করার পরে ফের টাকা চান দুর্গামণি। টাকা ফেরত দিতে পারছিল না সমর। বরং একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। রাতে বাংলা মদ আনে সমরই। দু’জনে খায়। মদের নেশায় ফের টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে দুর্গামণিকে খুন করে সমর। ভোরে হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়ে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে আরও জেরা করা বাকি। ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে হবে। তবে টাকা-পয়সার একটা ঝামেলা ছিল বলে জানা যাচ্ছে।’’ আপাতত হোটেলটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সমর-দুর্গামণি আগেও বার কয়েক ওই হোটেলে উঠেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy